জানুয়ারি ৩১, ২০২৪ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জর্ডানে হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়া জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই প্রতিক্রিয়া কী হবে বা কখন কীভাবে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন হোয়াইট হাউসে এ মন্তব্যের পর অবশ্য বলেছেন, আমি মনে করি না, আমাদের মধ্যপ্রাচ্যে একটি বিস্তৃত যুদ্ধের প্রয়োজন আছে।
দুদিন আগেই সিরিয়ার সীমান্তের কাছে হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ডজনখানেক সেনা আহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ইরান সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে করা ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের অভিযান শুরুর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে শত্রুদের হামলায় মার্কিন সৈন্য নিহতের ঘটনা এটিই প্রথম।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন— কীভাবে আক্রমণের প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন বাইডেন শুধু বলেছেন, ‘হ্যাঁ’।
এই হামলার জন্য ইরানকে দোষারোপ করা উচিত কিনা— এমন প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি তাদের (ইরানকে) এই অর্থে দায়ী করি যে, তারা (ইরান) হামলাকারীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে। তবে ইরান ওই হামলার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিক্রিয়ায় একটি ‘স্তরযুক্ত পন্থা’ নিতে পারে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শুধু একটি নয়, সম্ভাব্য একাধিক ক্রিয়া… সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখানো হতে পারে। তার কথায়, আমরা আমাদের সৈন্য এবং আমাদের সুবিধার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ওই গোষ্ঠীগুলোর যে ধরনের ক্ষমতা রয়েছে তা হ্রাস করব। আর প্রেসিডেন্ট আমাদের সৈন্য ও আমাদের সুবিধাগুলো রক্ষা করতে এবং আমাদের জাতীয় সুরক্ষার জন্য যা করতে হবে, তা করবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ইরান-মিত্র ঘাঁটি এবং কমান্ডারদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা করাসহ বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরাক বা সিরিয়ায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সিনিয়র কমান্ডারদেরও টার্গেট করতে পারে।