জীবনে যেসব পরিস্থিতিতে চুপ থাকাই ভালো

জীবনে যেসব পরিস্থিতিতে চুপ থাকাই ভালো

লাইফস্টাইল পরবাস স্পেশাল

নভেম্বর ২২, ২০২৪ ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

কথা বলে অনেক সমস্যার সমাধান করা যায়। কিন্তু জীবনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কথা বলা যেমন জরুরি, তেমনই পরিস্থিতি বুঝে চুপ থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। এমনটাই মনে করেন মনোবিদরা।

তাদের মতে, বিশেষ মুহূর্তে নিজের চিন্তাভাবনা বা অনুভূতিকে দমন করে সঠিক সময়ে মুখ খোলা উচিত। মনোবিদদের মতে এই পরিস্থিতিগুলোতে একেবারেই মুখ খোলা উচিত নয়।

তর্কাতর্কির সময়: যখন কোথাও ভয়ানক ঝগড়া, তর্কাতর্কি চলবে, সেই সময় চুপ থাকুন। তর্কের সময় অতি আবেগ এবং রাগে সকলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন। সেই সময় আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ তো বটেই হাতাহাতি পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। মনোবিদরা বলছে, এই সময় একদম কথা বলবেন না। মনে রাখবেন, যেখানে আবেগ বেশি থাকে, সেখানে যুক্তি বিশেষ পাত্তা পায় না।

তথ্য সম্পর্কে অনিশ্চিত হলে: কোনো বিষয় নিয়ে তর্ক চলাকালীন যদি সে বিষয়ে আপনার কাছে তথ্য কম থাকে বা সঠিক তথ্য না থাকে তাহলে চুপ থাকুন। না জেনে কথা বললে নিজের ভাবমূর্তিই নষ্ট হবে।

আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির সময়: নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চাইলে কম কথা বলুন। তাতে নিজস্ব চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, কল্পনাশক্তি ইত্যাদি দৃঢ় হয়। মনের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। মানসিক সুস্থতার জন্য কম কথা বলা ভালো।

অন্যের কথা শোনার সময়: কেউ যখন কথা বলবেন, তার কথা চুপ করে বসে শুনুন। তার কথার পৃষ্ঠে কথা বলতে যাবেন না। মনোবিদদের মতে, সক্রিয় শ্রবণ আমাদের মনের বিকাশ ঘটায়। তাই বক্তার কথা শেষ হলে তারপর নিজের মতামত রাখুন।

নিজের ভাবনা প্রকাশ করতে না পারলে: নিজের মনের ভাবনা গুছিয়ে প্রকাশ করতে পারবেন না, এমন বুঝলে একদম চুপ করে যান। বিশেষ করে কারও মৃত্যু সংবাদ বা দুঃসংবাদ পেলে অনেকেই কী ভাবে সহানুভূতি জানাবেন বুঝতে পারেন না। তখন চুপ থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।

অন্যের সমস্যা শুনুন: কেউ যদি নিজের সমস্যা সমাধানে আপনার সাহায্য চায় তখন আগে তার কথা শুনুন। সমস্ত শুনে, পরিস্থিতি বিচার করে তবেই মুখ খুলবেন।

নীরব থেকেই উত্তর: এমন কিছু পরিস্থিতি চলে আসে যখন নীরব থেকে শরীরী ভাষায় নিজের মনের ভাব সঠিক ভাবে প্রকাশ করা যায়। চুপ করে থেকেই নেতিবাচক আলোচনা এড়িয়ে যাওয়া যায়। তাতে কাউকে সরাসরি অসম্মানিত হতে হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *