কিছু নিয়ম মানলে এবং ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি সুস্থ জীবনযাপনও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। রোজ ল্যাবে গিয়ে পরীক্ষা করলে খরচ বাড়ে। ভোগান্তিও হয়। সে কারণে অনেকেই এখন বাড়িতে গ্লুকোমিটারে পরীক্ষা করছেন রক্তের শর্করার মাত্রা।
কিন্তু জানেন কি, এক্ষেত্রে আপনার বেশকিছু ভুলে আসতে পারে ভুল ফলাফল? যা থেকেই চরম সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি। তাই রক্ত পরীক্ষার সময় যেসব নিয়ম মেনে চলা উচিত, তা জেনে নিন-
১. প্রতিবার গ্লুকোমিটার ব্যবহার করার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। তারপর হাত মুছে রক্তের প্রথম ফোঁটাটি নিতে হবে। হাতে কিছু লেগে থাকলেই ফলাফল ভুল আসতে পারে।
২. অনেক রোগী একই সুচ পাঁচ থেকে ছ’বার ব্যবহার করেন। এটি সংক্রমণের সম্ভাবনা বহু গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি যত্নশীল হওয়াও দরকার। ভালো মানের যন্ত্র কেনা, নির্দিষ্ট সময় পরপর তার পরিমাপের নির্ভুলতা পরীক্ষা করা, ব্যাটারির দিকে খেয়াল রাখা, প্রতিবার ব্যবহারের আগে যন্ত্রটি ‘রিসেট’ করার বিষয়ে নজর দিতে হবে। খুব বেশি ঠান্ডা জায়গায় যন্ত্রটি রাখবেন না। সূর্যের তাপ যেন যন্ত্রের উপর না পড়ে সে দিকেও নজর রাখবেন।
৪. সুচ ফুটিয়ে রক্ত পরীক্ষা করলে যথেষ্ট ব্যথা হয়। অনেকেই আঙুলের একেবারে ডগায় সুচ ফুটিয়ে রক্ত পরীক্ষা করেন। সেক্ষেত্রে ব্যথা আরও বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুলের এক পাশে পরীক্ষা করলে ব্যথা খানিকটা হলেও কম হয়। প্রতিদিন একই আঙুলে পরীক্ষা না করে বিভিন্ন আঙুলে পরীক্ষা করুন।
৫. প্রত্যেক দিনের ফলাফল এক জায়গায় লিখে রাখা খুব জরুরি। সেই তালিকা দেখেই চিকিৎসক বুঝতে পারবেন, আপনার শরীরে ওষুধ আদৌ কাজ করছে কি না। এ ছাড়া ঠিক কোন খাবার খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ছে, তা-ও জানতে পারবেন এই তালিকা থেকে।
৬. কেবল সকালে খালি পেটে কিংবা খাবার দু’ঘণ্টা পরে রক্ত পরীক্ষা করলে চলবে না। দিনের বিভিন্ন সময়ে আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কতখানি তা-ও জানা দরকার।