তাইওয়ানের কাছে ৮ কোটি ডলারের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিক্রয় তাইওয়ানের নিরাপত্তার উন্নতি করতে ও এই অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ)। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তাইওয়ানে অস্ত্রের যন্ত্রাংশ বিক্রির অনুমোদন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এ সিদ্ধান্ত দেশটির বিমান বাহিনীর যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষা চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। জুলাই মাসে এটি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, শান্তি ও প্রকাশ্য যুদ্ধের মধ্যবর্তী হয়রানির কৌশল হিসেবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার সীমিত করাসহ নৌ ও বিমান প্রশিক্ষণের স্থান এবং পাল্টা পদক্ষেপের সময়কে নিষ্পেষণের চেষ্টা করছে।
তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিং বারবার দেশটিকে এই দ্বীপে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে চীন। তবে দেশটির এমন দাবির তীব্র বিরোধিতা করে তাইওয়ান।
এ বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব পায়নি রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েলিংটন কু বলেন, মার্কিন ইন্দো-প্রশান্ত কৌশলে ‘কার্যকর প্রতিরোধের’ অংশ হতে তাইওয়ানকে অবশ্যই আত্মরক্ষার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তবে তাইওয়ান-মার্কিন সামরিক সহযোগিতার জন্য এমন অনেক কিছুই আছে, যা আমরা শুধু করে দেখাতে পারি, বলতে পারি না।