পাশ্চাত্যের কোনো কোনো শক্তি ইউক্রেনের সংঘাতকে সর্বাত্মক তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত করতে উদ্যত বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান। তা সত্ত্বেও তুর্কি নেতা এ অঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা বা এসসিও’র শীর্ষ সম্মেলন শেষে শুক্রবার দেশে ফেরার পথে বিমানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কোনো কোনো দেশ এবং শক্তি এমন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে, যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার পথ করে দিতে পারে।’
ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলোর অব্যাহত অস্ত্র সরবরাহের সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, পশ্চিমা অস্ত্র উৎপাদনকারীরা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইউক্রেনে এসব অস্ত্র সরবরাহ করছে। এটি নিশ্চিত যে, অস্ত্র উৎপাদনকারীদের অর্থ প্রয়োজন। আর এ অস্ত্রবাজারের নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই পশ্চিমাদের হাতে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহের বিপরীতে রাশিয়া শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন সংকট সমাধানের জন্য আলোচনার কথা বলছে।
চলমান এই সংঘাতের বিষয়টি তুরস্ক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে এরদোগান আশা প্রকাশ করে বলেন, খুব শিগগিরই রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হবে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকে ইউক্রেনে প্রায় দুই হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আড়াই হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। জাতিসংঘের অনুমান, এ যুদ্ধে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ৪৬ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় অন্য দেশে পালিয়ে গেছে। এছাড়া ৭০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সূত্র: ইয়েনি শাফাক