রাশিয়া ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের অর্থ হচ্ছে আমাদের এই গ্রহ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে থাকবে বলে পশ্চিমাদের সতর্ক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর, সোমবার (১৮ মার্চ) পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
সোভিয়েত-পরবর্তী রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের পর সাংবাদিকদের পুতিন বলেন, এটা এখন সবার কাছে পরিষ্কার। রাশিয়া-ন্যাটো সংঘর্ষ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে। খুব কম লোকই এমন দৃশ্য দেখতে চান বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
পুতিন আরো বলেছেন, ন্যাটোর সামরিক কর্মীরা যদিও ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে যোগ দিয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে তারা ইংরেজি ও ফরাসি উভয় ভাষাতেই কথা বলছেন বলে রাশিয়া দেখতে পেয়েছে। তবে তিনি বলেন, এতে ভালো কিছু নেই। কারণ অনেকেই সেখানে মারা যাচ্ছেন।
গত মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, ভবিষ্যতে ইউক্রেনে স্থল সেনা মোতায়েনের বিষয়টি উড়িয়ে দিতে পারছেন না তিনি। ম্যাক্রোঁর ওই বক্তব্যে সমর্থন দেয়নি অনেক পশ্চিমা দেশ। তবে বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো তার কথার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।
তাই তো রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সংঘর্ষের ঝুঁকি ও সম্ভাবনা সম্পর্কে পুতিন বলেন, আধুনিক বিশ্বে সবকিছুই সম্ভব। তবে ম্যাক্রোঁ ইউক্রেন যুদ্ধকে আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করা বন্ধ করে শান্তি খোঁজার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
গত ১৫-১৭ মার্চের নির্বাচনের আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়িয়ে দেয় ইউক্রেন। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ভূখণ্ড রক্ষার জন্য ইউক্রেনের ভূখণ্ডের বাইরে একটি বাফার জোন তৈরি করবে রাশিয়া।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার সাথে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে পশ্চিমা বিশ্বের। ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্রকে কেন্দ্র করে সম্পর্কের এ সংকট তৈরি হয়েছিল।
এরপর থেকে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে এসেছেন পুতিন। তিনি নিজেও ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন অনুভব করেননি বলে জানিয়েছেন। তবে পশ্চিমারা ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য সৈন্য পাঠালে সেটি পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।