দক্ষিণের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করছে উত্তর কোরিয়া

দক্ষিণের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করছে উত্তর কোরিয়া

আন্তর্জাতিক

অক্টোবর ১০, ২০২৪ ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত সড়ক ও রেলপথ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করবে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী। বুধবার থেকে সব সড়ক ও রেলপথ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, দেশটি সীমান্তের পাশের এলাকাগুলোকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে এই ঘোষণার কারণে দুই কোরিয়াকে বিভক্তকারী সীমানারেখার কাছাকাছি সামরিক কার্যকলাপ আরও বৃদ্ধি পেল। রয়টার্স।

বিগত কয়েক বছরে দুই কোয়ার সম্পর্ক তিক্ত হচ্ছে। কিছুদিন পরপরই একে অপরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না পিয়ংইয়ং ও সিউল।

জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপটি দেশটির ১৯৯১ সালে স্বাক্ষরিত একটি আন্তকোরীয় চুক্তি বাতিলের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেসিএনএ প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে কোরিয়ান পিপলস আর্মির জেনারেল স্টাফ বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত যুদ্ধমহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই ঘোষণা এসেছে। এই মহড়াকে তারা ‘প্রাথমিক শত্রু রাষ্ট্র ও অপরিবর্তনীয় প্রধান শত্রু’ হিসাবে অভিহিত করেছে।

পাশাপাশি এই অঞ্চলে মার্কিন কৌশলগত পারমাণবিক সম্পদের ঘন ঘন পরিদর্শনের অভিযোগও তোলেন।

এছাড়াও জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী অভিযোগ করেছিল, দুর্ঘটনা সত্ত্বেও চলতি বছর কয়েক মাস ধরে ভারী সামরিকীকরণ সীমান্ত বরাবর ল্যান্ডমাইন পোঁতা, বেড়া দেওয়াসহ বর্জ্যভূমি তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া।

এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসংঘের কমান্ডকে (ইউএনসি) বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে, তবে বিস্তারিত বলেনি। তবে তারা আরও জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার ঘোষণার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ইউএনসির সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউএনসি একটি বহুজাতিক সামরিক বাহিনী এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে ডিমিলিটারাইজড জোনের বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করে। এর আগেও ২০২৩ সালের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন ঊন ঘোষণা করেছিলেন, তিনি আর দক্ষিণের সঙ্গে পুনঃএকত্রীকরণের চেষ্টা করছেন না। তার এই ঘোষণার মধ্যদিয়ে সেসময় কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেয়।

উল্লেখ্য, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউএনসি একটি বহুজাতিক সামরিক বাহিনী এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড) বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করে। ‘ডিমিলিটারাইজড জোন’ হলো এমন একটি এলাকা যেখানে রাষ্ট্র, সামরিক শক্তি বা প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চুক্তি বা সামরিক স্থাপনা, কার্যকলাপ বা কর্মীরা নিষিদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *