আর্থিক অবস্থার দিক দিয়ে বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি এবং একটি বিদেশি ব্যাংকসহ মোট ৯টি ব্যাংক রেড জোনে রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক রয়েছে চারটি, যেখানে মোট রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সংখ্যা ছয়টি।
রেড জোনে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক হলো- বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক।
বেসরকারি খাতের চারটি ব্যাংক হলো- পদ্মা ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও এবি ব্যাংক। এছাড়া রেড জোনে পড়েছে বিদেশি ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।
সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স (বিএইচআই) অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগ অর্ধবার্ষিক পারফরেমেন্সের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইয়েলো জোনে আছে ২৯টি ব্যাংক এবং গ্রিন জোনে আছে ১৬টি ব্যাংক। গ্রিন জোন সূচকের দিক থেকে ভালো পারফরমেন্সকে বোঝায় এবং ইয়োলো জোন বোঝায় মধ্যবর্তী অবস্থানকে।
গ্রিন জোনে থাকা ব্যাংকগুলো হলো- প্রাইম ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ব্যাংক আলফালাহ, ব্যাংক এশিয়া, সিমান্তো ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক, উরি ব্যাংক, এইচএসবিসি, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন , সিটি ব্যাংক এনএ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
অপরদিকে ইয়োলো জোনের ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ওয়ান ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক , এনআরবিসি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক।