ডিসেম্বর ১০, ২০২৩ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের সময় শেষ হয়েছে শনিবার। একইসঙ্গে শেষ হয়েছে বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিলের সময়সীমাও। আজ রোববার থেকে এসব আপিলের শুনানি শুরু করবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
পাঁচ দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ৫৬১টি আপিল জমা পড়েছে, যা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ১৮টি, অর্থাৎ তিন দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি।
এ নির্বাচনে অংশ নিতে সারা দেশের ৭৪৭ স্বতন্ত্রসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৩১টি বাতিল ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র বাতিলের হার ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ । আর বৈধ মনোনয়নপত্রের হার ৭৩ দশমিক শূন্য আট শতাংশ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৬৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল। পরে রির্টানিং কর্মকর্তাদের বাছাই শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮৬ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল। প্রার্থিতা ফিরে পেতে মনোনয়নপত্র বাতিলের ও বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বিরুদ্ধে আপিল করেন ৫৪৩ জন। সেই হিসেবে, একাদশের চেয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ১৮টি আপিল বেশি পড়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হওয়া আপিলের মধ্যে ৩০টিরও বেশি আবেদন হয়েছে বৈধ ঘোষিত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে। যার মধ্যে গতকাল শনিবার পড়েছে ১৯টি। আর গত শুক্রবার পড়েছিল ৮টি আপিল আবেদন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, গত পাঁচদিনে আপিল আবেদন গ্রহণ করে ইসি। এবার মোট ৫৬১টি আপিল আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে বৈধ হওয়া প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।
ইসির তথ্যমতে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে প্রথম দিন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন ১৪১ জন, তৃতীয় দিন ১৫৫ জন, চতুর্থ দিন ৯৩ জন এবং পঞ্চম দিনে ১৩০ জন আপিল করেছেন।