অক্টোবর ২০, ২০২৩ ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত মিশন ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ে প্রথম পর্যালোচনা শেষ করতে তারা বিভিন্ন নীতির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ৪ অক্টোবর আইএমএফের কর্মকর্তা রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে মিশনটি ঢাকায় আসে।
সরকারের সঙ্গে বৈঠকের শেষ দিন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আইএমএফ মিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম পর্যালোচনা শেষ হলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ পাবে। তবে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এতে বলা হয়, আইএমএফ সমন্বিত কর্মসূচির আওতায় কাঠামোগত সংস্কারে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু এখনো চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বৈশ্বিক আর্থিক খাতে সংকোচন এবং এর সঙ্গে বিদ্যমান অন্যসব ঝুঁকি অর্থনীতির ব্যবস্থাপনাকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এর ফলে টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উভয়ের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে-বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়বে এবং মধ্য মেয়াদে তা চার মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ হবে। তবে এ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি রয়েছে।
একই দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আইএমএফের পর্ষদ সভায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি অনুমোদন পাবে। তিনি আরও বলেন, ঋণের জন্য আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছিল সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি পূরণ করা হয়েছে। তবে রিজার্ভ ও রাজস্ব আহরণের শর্ত পূরণ হয়নি। এর পেছনের দেশীয় ও বৈশ্বিক কারণগুলো আইএমএফের কাছে তুলে ধরার পর ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে সমঝোতা হয়। তিনি আরও বলেন, আইএমএফের পর্ষদে অনুমোদনের পর ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসাবে ৬৮ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ।
এর আগে সফররত আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সমাপনী সভা করে। ৩ অক্টোবর আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে সংস্থাটির পর্যালোচনা মিশন বাংলাদেশে আসে। পরদিন থেকে তারা বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে সভা করে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সভার মধ্য দিয়ে আইএমএফের পর্যালোচনা মিশন শেষ হয়।