মার্চ ৩০, ২০২৪ ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ
গণহত্যা চালাচ্ছে গাজায় ইসরাইলি সেনারা। একই সঙ্গে সমানতালে গাজাবাসীদের ওপর বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। নিজেদের সেই বর্বরতার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করছে অনলাইনে।
কতটা নিকৃষ্ঠ মানসিকতা তারা পোষণ করে তার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে নিজেরাই। গাজায় যখন মানুষ জীবন বাঁচাতে মরিয়া, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাবে মরতে বসেছে, তখন তারা নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল ভঙ্গি করছে। তার ছবি তুলে আবার বিশ্বকে জানান দিচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি নারীদের ঘরে পাওয়া অন্তর্বাস নিয়ে এই অশ্লীলতায় মেতে উঠছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলি এক সেনা গাজার একটি ঘরে আর্মচেয়ারে বসে হাসছে। তার এক হাতে বন্দুক এবং অন্য হাতে সাদা সাটিনের অন্তর্বাস ঝুলছে।
সে মূলত পাশের সোফায় শুয়ে থাকা আরেক সেনার খোলা মুখের ওপর সেই অন্তর্বাস নাড়াচাড়া করছে। অন্য এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইসরাইলি এক সেনা ট্যাংকের ওপর বসে আছে।
এসময় নারীদের একটি ম্যানিকুইনকে (পোশাকের দোকানের পুতুল) কালো অন্তর্বাস এবং হেলমেট পরিয়ে ধরে রেখেছে।
সেই সেনা বলছে, আমি সুন্দর স্ত্রী পেয়েছি। গাজায় সম্পর্কে জড়িয়ে গেছি, সুন্দরী নারী।
রয়টার্স বলছে, ইসরাইলি সেনাদের ধারণ করা অনেকগুলো ভিডিও ও ছবির মধ্যে এ দুটি ভিডিও রয়েছে। এ রকম বহু পোস্ট রয়েছে যেখানে ইসরাইলি সেনাদের ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস, ম্যানিকুইনকে এবং কিছু ক্ষেত্রে দুটোই প্রদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে। অন্তর্বাসের এসব ছবি অনলাইনে দেখা হয়েছে কয়েক হাজারবার।
খবরে আরও বলা হয়েছে, ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামে এ রকম আটটি পোস্টের সত্যতা যাচাই করেছে রয়টার্স।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, এই ধরনের ছবি পোস্ট করা ফিলিস্তিনি নারীদের এবং সমস্ত নারীর জন্য অবমাননাকর।
বিষয়টি জানতে ইউটিউব বা ইনস্টাগ্রামে যাচাইকৃত আটটি পোস্টের বিস্তারিত জানতে চেয়ে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কাছে পাঠিয়েছে রয়টার্স।
জবাবে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) একজন মুখপাত্র বলেছে, সেনাদের দায়িত্ব পালনের সময় আদেশ এবং প্রত্যাশিত মূল্যবোধ থেকে বিচ্যুত করে এমন সব ঘটনার তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে আপলোড করা ভিডিওগুলোর বিষয়েও তদন্ত হবে।
এদিকে অশ্লীল খেলায় মত্ত যেসব ইসরাইলি সেনাকে রয়টার্স শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে বার্তা সংস্থাটি। অবশ্য তাদের সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাঠানো মন্তব্যের অনুরোধের জবাব ওই ইসরাইলি সেনারা দেয়নি।