নভেম্বর ৪, ২০২৩ ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ৭ নভেম্বর নিলামে তোলা হচ্ছে ‘ব্লু রয়্যাল’ নামে পরিচিত একটি বিরল নীলাভ হীরা। দেখলে চোখ ফেরানো দায়। ধারণা করা হচ্ছে, অনিন্দ্যসুন্দর হীরাটির দাম উঠতে পারে ৬ কোটি ডলার পর্যন্ত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬০০ কোটি টাকার বেশি।
হীরাটি নিলামে তুলছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ক্রিস্টিস’। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা রাহুল কাদাকিয়া বলেন, ব্লু রয়্যালকে বিরল ও বিশেষ করে তুলেছে এটির আকৃতি। হীরাটি ১৭ দশমিক ৬ ক্যারেটের। এ ধরনের হীরাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়। হীরাটির রংও প্রাকৃতিকভাবে খুবই সমৃদ্ধ। এটি একেবারে নিখুঁত।
ব্লু রয়্যালের আগে এ ধরনের আরেকটি হীরা নিলামে তুলেছিল ক্রিস্টিস। ১৪ দশমিক ৬ ক্যারেটের ঐ হীরার নাম ‘ওপেনহেইমার ব্লু’। ২০১৬ সালে সেটি ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। রাহুল কাদাকিয়া বলেন, আশা করছি, ব্লু রয়্যাল দামের দিক দিয়ে ওপেনহেইমারকে টপকে যাবে। আমরা এশিয়া থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হীরাটি নিয়ে ঘুরেছি। হীরাটি নিয়ে সংগ্রাহকদের বেশ আগ্রহ দেখা গেছে।
ক্রিস্টিস বর্তমানে একটি মুক্তার হার নিলামে তুলেছে। ৩ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সেটির নিলাম চলবে। ১৯৫৩ সালে রোমান হলিডে চলচ্চিত্রের শেষ দৃশ্যে ওই হার পরেছিলেন তারকা অভিনেত্রী অড্রি হেপবার্ন। এ নিয়ে রাহুল কাদাকিয়া বলেন, আমরা হারটির দাম ধরেছি ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার। বলা চলে ন্যায্যমূল্যই ধরা হয়েছে। হারটি পরে সবাই অড্রি হেপবার্নের মতো হতে পারবেন।
এছাড়া একটি হাতঘড়িও নিলামে তুলবে ক্রিস্টিস। ঐ ঘড়ি ১৯৭৯ সালের অ্যাপোক্লিপ্স নাউ চলচ্চিত্রে পরেছিলেন অভিনেতা মার্লন ব্র্যান্ডো। অভিনয়ের সময় ঘড়িটি যেন হারিয়ে না যায়, সেজন্য সেটির পেছনে স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি। ঘড়িটির দাম ১০ থেকে ২০ লাখ ফ্রাঁ (সুইজারল্যান্ডের মুদ্রা) উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।