নেপালে সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ ভূমিধসের ফলে দুটি যাত্রীবাহী বাস ত্রিশূলি নদীতে ছিটকে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৬৩ জন নিখোঁজ হন। ঘটনার তিন দিন পার হলেও এখনো ৫৫ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
সোমবার (১৫ জুলাই) একজন সিনিয়র নেপালি পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির তথ্যানুযায়ী, রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৮৬ কিলোমিটার পশ্চিমে চিতওয়ান জেলায় মধ্যাঞ্চলে শুক্রবারের ভূমিধসের কংক্রিটের সড়ক ডিভাইডার উপর দিয়ে যানবাহনগুলো ছিটকে পড়ে এবং রাস্তা থেকে কমপক্ষে ৩০ মিটার নিচে পড়ে যায়। কয়েক ডজন উদ্ধারকারী ত্রিশূলী নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে এখন পযর্ন্ত ৫৫ জন আরোহীকে উদ্ধার করতে পারেননি।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী দুটি বাসে চালকসহ মোট ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন।
চিতওয়ানের প্রধান জেলা কর্মকর্তা ইন্দ্রদেব যাদব এএনআইকে জানান, বাসগুলো মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ভূমিধস হলে সেগুলো রাস্তা থেকে ছিটকে নিচের নদীতে পড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, নেপালে খারাপভাবে নির্মিত রাস্তা, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে প্রায়ই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, এপ্রিল থেকে এক বছরে নেপালের প্রায় ২ হাজার ৪০০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। জানুয়ারিতে নেপালগঞ্জ থেকে কাঠমান্ডুগামী একটি বাস নদীতে পড়ে দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়। বর্ষা মৌসুমে সড়ক ভ্রমণ মারাত্মক হয়ে ওঠে কারণ, বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি দেশ জুড়ে ভূমিধস এবং বন্যা হয়।