নভেম্বর ৪, ২০২৩ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ
নেপালের পশ্চিমাঞ্চলের জাজারকটে ৬ দশমিক ৪ মাত্রা ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে কমপক্ষে নিহত হয়েছেন ৭০ জন। আহত হয়েছে অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে বহু জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই আবহে রাত থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এখনো পর্যন্ত ৭০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ ভূমিকম্পে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা।
শুক্রবারের শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে নেপাল ছাড়াও কেঁপে উঠেছে ভারতের দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও বিহারসহ ভারতের বহু জায়গা। তবে ভারতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে নেপালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কম্পনের উৎসস্থল নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম থেকে ৩৩১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিল। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়।
এদিকে ভারত সীমান্ত থেকে ভূমিকম্পের উৎসস্থলটি ছিল কাছেই। এ আবহে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড সহ ভারতের বহু জায়গা সেই কম্পন অনুভূত হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগঢ়ের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ২০৮ কিমি, জোশীমঠের দক্ষিণ-পূর্বে ৩১৭ কিমি, উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ের উত্তর ও উত্তর-পূর্বে ২৫৩ কিমি এবং উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার উত্তরে ২২৭ কিমি দূরে অবস্থিত ছিল এই কম্পনের উৎসস্থল।
প্রসঙ্গত, গত এক মাসের মধ্যে নেপালে তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এর আগে গত ২০১৫ সালে নেপালে ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। তাতে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৯ হাজার মানুষের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ২২ হাজার মানুষ। গতরাতের ভূমিকম্প যেন নেপালের মনে ২০১৫ সালের সেই ভীতি ঢুকিয়ে দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে। রাতেই জরুরি ভিত্তিতে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।