আটা, ময়দা, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির। চলমান বিক্ষোভে সহিংসতায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।
নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার (১৪ মে) কালো দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে জম্মু-কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি (জেএএসি)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধি, চড়া রাজস্ব ও বিদ্যুৎ সংকটের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে জেএএসির আহ্বানে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার মানুষ। সপ্তাহান্তে বিক্ষোভ তীব্রতর হয়। ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্কুল, গণপরিবহণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সোমবার বিক্ষোভ থামাতে আঞ্চলিক রাজধানী মুজাফফরাবাদে আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স পাঠায় কর্তৃপক্ষ। এ সময় তারা বেশ কয়েকজন জেএএসি নেতা ও বিক্ষোভকারীকে আটক করে। এ ঘটনায় আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভের ফুটেজে দেখা গেছে, একপর্যায়ে উভয়পক্ষ একে অপরকে রড দিয়ে আঘাত করছে। রেঞ্জার্স বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
নিহত চারজনের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তানের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্তত তিনজন বন্দুকের গুলিতে মারা গেছেন।
পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারই জেএএসির সঙ্গে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠক হয়। এ সময় আটা ও বিদ্যুতের মূল্যে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য ২৩শ কোটি রুপির প্যাকেজ ঘোষণা করে ইসলামাবাদ সরকার। তারপরও তাৎক্ষণিভাবে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।
তবে তাদের দাবি মেনে নেওয়ায় চলমান বিক্ষোভ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন জেএএসি নেতারা। তবে বিক্ষোভে নিহতদের সম্মান জানাতে মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করবে তারা। দিনটিকে কালো দিবস ঘোষণা করেছে তারা।
কাশ্মীর নিয়ে ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চলছে।