মানুষকে কথায় কথায় অপমান করা অনেকের স্বভাব। কিন্তু তাই বলে ‘অপমান করাটাই’ পেশা হিসেবে বেছে নেয়া বেশ অদ্ভুত! অপমান করেই হাজার হাজার ডলার আয় করছেন আমেরিকার মিস্ট্রেস মার্লে। পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ করা, তাদের অপমান করার এই উদ্ভট পেশা অনলাইনে অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
মার্কিন এই নারী একজন পেশাদার ‘ডমিনেট্রিক্স’, তার বয়স ৩০ বছর। তিনি জানিয়েছেন, তার ক্লায়েন্টরা সকলে স্বেচ্ছায় মৌখিকভাবে বা শারীরিকভাবে অপমানিত হতে চায়। চায় মিস্ট্রেস মার্লে তাদের নিয়ন্ত্রণ করুক। আর এর বিনিময়ে তারা তাকে বিভিন্ন উপহার দেয় এবং মোটা টাকা দেয় তার পরিষেবার মূল্য হিসেবে।
প্রায় ছয় বছর আগে এই অপ্রচলিত পেশা বেছে নিয়েছিলেন মার্লে। সম্প্রতি, ‘লাভ ডোন্ট জাজ’ নামে এক ইউটিউব চ্যানেলে তিনি তার এই অস্বাভাবিক অথচ লাভজনক ব্যবসার বিষয়ে মুখ খুলেছেন।
স্নাতক হওয়ার পর প্রচলিত কর্পোরেট চাকরি করার কথা ভেবেছিলেন মার্লে। কিন্তু বুঝেছিলেন, তাতে তার আর্থিক চাহিদা মিটবে না। এরপরই অনলাইনে বিকল্প আয়ের উৎসের খোঁজ করেন। আর তা করতে গিয়েই তিনি এমন বেশ কিছু নারীর সন্ধান পান, যারা অর্থের বিনিময়ে পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। কৌতূহল জেগেছিল মার্লের। ঠিক করেন, তিনিও এই কাজই করবেন।
তার প্রথম ক্লায়েন্ট, মার্লেকে তার মধ্যাহ্নভোজের বিল মেটানোর জন্য ৫০ ডলার দিয়েছিল। তবে এটা মার্লের উপার্জন ছিল না। এই যে তার খাবারের বিল মেটালেন পুরুষটি, এই পরিষেবার মূল্য হিসেবে পুরুষটি তাকে আরো মোটা টাকা দিয়েছিলেন। এরপর, তার পরিষেবা পেতে একজন ক্লায়েন্ট তাকে প্রাথমিকভাবে ১০০০ ডলার দিয়েছিলেন। পরে মার্লের ‘সার্ভিস’ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে আরো ২ লাখ ৮ হাজার ডলার পাঠিয়েছিল।
কিন্তু, কারা মার্লের ক্লায়েন্ট? প্রধানত শ্বেতাঙ্গ পুরুষরাই মিস্ট্রেস মার্লের পরিষেবা চায়। কী ধরনের পরিষেবা? মার্লের বাড়িতে এসে তার চাকর ভূমিকা নেয়া, শারীরিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়া, মার্লের হাতে চাবুকের বাড়ি খাওয়া ইত্যাদি।
তার এই পেশা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। নারীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে চায় যে পুরুষরা, তারা নারীদের দুর্বল বলেই ভাবে। আর দুর্বলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার মধ্যে একটা বিকৃত আনন্দ কাজ করে। একই সঙ্গে মার্লে কৃষ্ণাঙ্গ বলেই তার ক্লায়েন্টদের তালিকায় শ্বেতাঙ্গদের সংখ্যা বেশি। যার পিছনে একইভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি অবমাননার ভাব কাজ করে।
তাই মার্লের পেশা নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে। তবে, এই সব বিতর্ক, সমালোচনায় কান দেন না মার্লে। তিনি জানিয়েছেন, এই পেশা তার জীবনধারা এবং তার আর্থিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটিয়েছে। তাই কে কী বলল, তাতে কিছু যায়-আসে না।