উপসচিব পদে আরেক দফা পদোন্নতির প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এবারের পদোন্নতিতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মূল ব্যাচ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) প্রতিবেদন, বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর), শৃঙ্খলাসংক্রান্ত তথ্য, কর্মজীবনের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এবারের পদোন্নতিতে বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ১০তম ব্যাচ থেকে ২৯তম পর্যন্ত ১৪টি ব্যাচের বাদ পড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তাকে বিবেচনা করা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রশাসনে উপসচিবের অনুমোদিত ১ হাজার ৪২৮টি পদের বিপরীতে ১ হাজার ৭০২ জন উপসচিব কর্মরত। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম বলেন, পদোন্নতির জন্য তথ্য চাওয়া হয়েছে। এখনো কোনো মিটিং হয়নি। ঈদের আগে আর সম্ভব না। ঈদের পর যতটা সম্ভব দ্রুত কাজ শুরু হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য ৭ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্মকর্তাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৩০তম ব্যাচে কর্মকর্তা রয়েছেন ২৯১ জন, ১০ম ব্যাচের ১ জন, ১১তম ব্যাচের ৬ জন, ১৩তম ব্যাচের ১১ জন, ১৫তম ব্যাচের ৯ জন, ১৭তম ব্যাচের ৪ জন, ১৮তম ব্যাচের ২ জন, ২০তম ব্যাচের ১০ জন, ২১তম ব্যাচের ১০ জন, ২২তম ব্যাচের ৭ জন, ২৪তম ব্যাচের ১৫ জন, ২৫তম ব্যাচের ১৩ জন, ২৭তম ব্যাচের ১৪ জন, ২৮তম ব্যাচের ১৫ জন এবং ২৯তম ব্যাচের ২২ জন।
প্রশাসন ছাড়া অন্য ক্যাডারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় আনা হবে।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ১০ম ব্যাচ থেকে ২৯তম ব্যাচ পর্যন্ত প্রশাসন ক্যাডারের ১৪টি ব্যাচের পদোন্নতিবঞ্চিত দেড় শতাধিক কর্মকর্তা। তাদের পদোন্নতিবঞ্চনার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের আনেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অথবা দুদকের মামলা চলমান। অনেকের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে নেতিবাচক মন্তব্য পাওয়া গেছে এবং বাস্তবতাও তাই। অন্যতম প্রধান এ দুটি কারণে তারা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন।
এছাড়া প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন। যারা মামলায় রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন, তাদের পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হতে পারে।