প্রায় ২০ বছর পর ‘বিলুপ্ত’ এক দানবীয় মাছের সন্ধান

প্রায় ২০ বছর পর ‘বিলুপ্ত’ এক দানবীয় মাছের সন্ধান

চিত্র-বিচিত্র স্পেশাল

অক্টোবর ২৫, ২০২৪ ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

প্রায় দুই দশক ধরে ‘মেকং নদীর ভূত’ নামের এক মাছ দেখা যায়নি কম্বোডিয়ার কোনো জলাশয়ে। তবে দীর্ঘদিন পর ফের সেই মাছের দেখা মিলেছে দেশটিতে।

আবারও দৈত্যাকার এই কার্প জাতীয় মাছের দেখা পেয়েছে কম্বোডিয়ার কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং দেশটির মৎস্য প্রশাসনের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল।

২০০৫ সাল থেকে এই অস্বাভাবিক আকৃতির স্যামন মাছ দেখা যায়নি। ফলে মাছের এই প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে ফের দৈত্যাকার এই মাছের সন্ধান মেলা বিজ্ঞান মহলে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

কম্বোডিয়ার সোয়ে রিয়েং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক বুনিয়েথ চ্যান বলেন, ‘জায়ান্ট স্যামন কার্পের পুনরাবিষ্কার শুধু এই প্রজাতির জন্যই নয়, পুরো মেকং বাস্তুতন্ত্রের জন্য আশার সঞ্চার করবে। মেকং বাস্তুতন্ত্র পৃথিবীর সবচেয়ে উৎপাদনশীল বাস্তুতন্ত্রগুলোর একটি, মেকং নদীতে প্রতি বছর ২০ লাখ টনেরও বেশি মাছ উৎপাদিত হয় এই বাস্তুতন্ত্রে, যার মূল্য ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি।

পুনরাবিষ্কারের পর এই মাছকে সুরক্ষিত প্রজাতির তালিকায় যুক্ত করেছে কম্বোডিয়ার মৎস্য প্রশাসন।

এই মাছটি ৪ ফুট পর্যন্ত বড় হতে পারে এবং চোয়ালের কাছটা হুকের মত বাঁকানো। এছাড়া এর চোখের চারপাশে উজ্জ্বল হলুদ রং দেখা যায়।

২০১৭ সাল থেকে, গবেষকরা স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেছেন। তারা যদি কোনো নতুন বা অস্বাভাবিক মাছ দেখে, তা গবেষকদের জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এর ফলে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কম্বোডিয়ার মেকং নদীতে তিনটি জায়ান্ট স্যামন কার্প এর দেখা মিলে।

গবেষকরা বলছেন, এই ঘটনা মাছটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন আশা তৈরি করেছে। মাছটির আরেকটি নাম ‘গোস্ট ফিশ’ বা ‘ভূত মাছ’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *