অক্টোবর ৩০, ২০২৩ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
রঙ-বেরঙয়ের শতাধিক ফানুস। প্রজ্বলন করা হয়েছে এক হাজার মোমবাতি। এভাবে রোববার রাতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘প্রবারণা পূর্ণিমা।’ শুধু কুয়াকাটার শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারই নয়, কলাপাড়ার ২০টি রাখাইন পল্লীতে আনন্দ উৎসবে উদযাপন করা হয়েছে ‘প্রবারণা পূর্ণিমা।’
রোববার দিনভর বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসকে ঘিরে মন্দিরে মন্দিরে চলে পঞ্চশীল ও অষ্টশীলসহ গৌতম বুদ্ধ স্মরণে প্রার্থনা। এদিন রাখাইন নারীদের হাতে তৈরি হরেক রকমের পিঠাপুলি দেওয়া হয় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মাঝে। মনোজ্ঞ আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয় কুয়াকাটার শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার। ফানুস উৎসবে আতশবাজি ফুটিয়ে ও নাচে গানে মেতে উঠে রাখাইন নারী-পুরুষসহ সব শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।
কুয়াকাটার কেরানীপাড়ার মাদবর উছাছিং মাদবর বলেন, আমাদের জীবন হোক মঙ্গলময়। এ কামনায় গৌতম বুদ্ধ স্মরণে আমরা নানা আচার অনুষ্ঠান করেছি। তবে আমাদের প্রধান আকর্ষণ ছিল মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উৎসব। এ উৎসবে কুয়াকাটার সব ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেছে।
একই এলাকার লুমা রাখাইন জানান, ফানুস উৎসবে আতশবাজি ও নাচে গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। এর আগে সকালে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল প্রার্থনা করা হয়।
কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ইন্দ্র বংশ ভিক্ষু বলেন, নিজেকে আত্মশুদ্ধি করার জন্যই আমরা প্রবারনা উৎসব করে থাকি। গৌতম বুদ্ধ স্মরণে আমরা দিনব্যাপী নানা আয়োজন করেছি। এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি ফেরদাউস আলম বলেন, রাখাইন সম্প্রদায়ের এ উৎসবকে ঘিরে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। যাতে তাদের উৎসব পালনে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়।