জানুয়ারি ২৮, ২০২৪ ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের পর গাজায় ত্রাণ সহায়তা স্থগিত করল আরও ৩ দেশ-অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইতালি।
৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার সঙ্গে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা সরবরাহকারী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউ) একাধিক কর্মী জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে ইসরাইল।
শুক্রবার এমন অভিযোগের পরপরই সাময়িকভাবে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দেয় দেশগুলো। এএফপি, বিবিসি।
শুক্রবার ইসরাইলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর একই ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।
দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছেন, ইসরাইলের এ অভিযোগে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
আরও বলেছেন, আমি কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি যেন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউএনআরডব্লিউ’র সব ধরনের তহবিল বন্ধ রাখা হয়।
শনিবার সাময়িকভাবে অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দেয় আরেক দেশ অস্ট্রেলিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এক্সের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান। বিবৃতিতে বলেন, আমরা অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলছি এবং আমরা সাময়িকভাবে সাম্প্রতিক তহবিল বিতরণ বন্ধ করে দেব। অস্ট্রেলিয়া এই অভিযোগটি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলেও জানান তিনি।
একই দিনে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থাকে অর্থায়ন বন্ধ করার সর্বশেষ দেশ ইতালি।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনিও তাজানি বলেছেন, মিত্র দেশগুলোও একই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ইসরাইলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্যও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এদিকে হামাস জাতিসংঘের সংস্থার বিরুদ্ধে ইসরাইলের অভিযোগের নিন্দা করেছে।
হামাসের প্রেস অফিস টেলিগ্রামে একটি পোস্টে বলেছে, আমরা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ইসরাইলের হুমকি এবং ব্ল্যাকমেইল না করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
ইউএনআরডব্লিউ’র কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই অভিযোগে আসা কর্মীদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে ঠিক কতজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সে বিষয়েও নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
এ ঘটনার জেরে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ ঘোষণা দিয়েছেন, গাজা যুদ্ধের পর সেখানে ইউএনআরডব্লিউ’র কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। শনিবার এক্সে দেওয়া পোস্টে আরও বলেন, ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মূল লক্ষ্য হলো গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউএনআরডব্লিউ যেন অঞ্চলটির অংশ হতে না পারে তা নিশ্চিত করা।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং অন্য প্রধান দাতাদের কাছ থেকেও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।