ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত এবং ইউক্রেন সঙ্কটের বিষয়ে বেইজিং ও আঙ্কারা ‘একই বা অনুরূপ দৃষ্টিভঙ্গি’ পোষণ করে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) নেতৃবৃন্দের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে শি এবং এরদোগান বৈঠক ওই করেন।
এ সময় শি বলেন, এই বিষয়গুলোতে চীন ও তুরস্কের আরও ‘ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করা উচিত।’
দুই নেতার মধ্যে ফিলিস্তিন ও ইউক্রেন নিয়ে যখন এই আলোচনা হয়, তখন গাজায় প্রায় ৯ মাস ধরে চলতে থাকা ইসরাইলের আগ্রাসনে ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, যেখানে কয়েকশ লোক মারা গেছে।
এই দুই নেতা এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক শহর সমরকন্দে শেষবার মিলিত হন।
বেইজিং থেকে এক বার্তায় বলা হয়েছে, শি জিনপিং জাতিসংঘ এবং জি২০’র মতো বহুপাক্ষিক কাঠামোর মধ্যে তুরস্কের সঙ্গে ‘সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করার’ জন্য চীনের প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছেন।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ‘একটি স্থিতিশীল উন্নয়ন গতি বজায় রেখেছে এবং উভয়ই (দেশ) প্রধান উন্নয়নশীল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের সদস্য’।
দুই দেশের সরকার তাদের ‘নিজ নিজ দেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিয়ম বজায় রাখার জন্য ঐকমত্য রয়েছে’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শি বলেন, ‘দুই পক্ষের উচিত মূল স্বার্থ রক্ষায় একে অপরকে সমর্থন করা, ক্রমাগত রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাসকে সুসংহত করা, উচ্চ-স্তরের পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতার প্রচার করা এবং চীন-তুর্কি কৌশলগত সহযোগিতামূলক সম্পর্কের বৃহত্তর উন্নয়নের প্রচার করা’।
বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য উভয়পক্ষকে চাপ দিয়ে শি বলেছেন, ‘চীন অবশ্যই তুরস্ককে তার জাতীয় অবস্থার সঙ্গে মানানসই একটি উন্নয়নের পথ গ্রহণে সমর্থন করে’।
তিনি এ সময় তুরস্কে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য চীনা কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান এবং আরও বেশি চীনা নাগরিককে দেশটিতে যেতে উৎসাহিত করেন।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি