জানুয়ারি ১, ২০২৪ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
বিশ্বব্যাপী আতশবাজি, নাচ-গান আর আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বছরের সূচনা হলো। কিন্তু বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই যখন নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ায় ব্যস্ত তখনো ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান গাজায় বেসামরিক লক্ষ্যবস্তকে কেন্দ্র করে গোলা হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। তবে কয়জন নিহত হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত প্রায় ৩ মাস ধরে চলা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৮২২ জনে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন বছরের প্রথম দিনের প্রথম প্রহরের দিকেই ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জয়তুন জেলায় বোমা হামলা চালায়। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, এই হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন।
এর বাইরে, ইসরায়েলি বাহিনী আল-মাগাজি শরণার্থীশিবির, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরসহ আরও বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। আহতদের স্থানীয় আল-আকসা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ২১ হাজার ৮২২ জন। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৫৬ হাজার ৪৫১ জন। এই সময় পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলা ও অভিযানে নিহত হয়েছে অন্তত ৩ শতাধিক। আহত হয়েছে আরো সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি।
জাতিসংঘ বলছে, গাজার কোথাও এখন নিরাপদ নয়। ফিলিস্তিনিরা জীবন বাঁচাতে যেখানেই আশ্রয় নিচ্ছে সেখানেই দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিরীহদের প্রাণহানি ঘটছে।
ফিলিস্তিনের তরুণরা বিবিসিকে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চায়। তারা চায় ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত বন্ধ হোক।
তবে ফিলিস্তিনিরা চাইলেও ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান এই যুদ্ধ এখনই থামার কোনো লক্ষণ নেই। কারণ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন।
তিনি আভাস দিয়েছেন যে, ফিলিস্তিনি এই উপত্যকা এবং অন্যান্য স্থানে লড়াই আরও কয়েক মাস চলতে পারে। এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, গাজার ক্ষমতাসীন হামাস সংগঠনের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই ১৩ সপ্তাহে প্রবেশ করেছে।
তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর লড়াই শুধু ওই অঞ্চলেই নয় বরং তা লেবানন, সিরিয়া, ইরাক এবং ইয়েমেনকেও জড়িয়ে ফেলেছে।