মার্চ ১৬, ২০২৪ ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মিকৃত বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহর’ একটি ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ছবিতে দেখা গেছে চারজন সোমালি জলদস্যু জাহাজটিতে টহল দিচ্ছে।
শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্রের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। টহলরত জলদস্যুদের সবার হাতেই ভারী অস্ত্র রয়েছে।
ওই পোস্টে জানানো হয়, সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজ অবস্থান করছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ’র হাইজ্যাক হওয়ার খবর পেয়ে গত মঙ্গলবারই (১২ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনী দূরপাল্লার মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট এলআরএমপি পি-৮১ মোতায়েন করে।
পরে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। যুদ্ধজাহাজটি বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জিম্মি জাহাজটিকে নজরদারি করতে শুরু করে। ঐদিন সকালে ভারতের যুদ্ধজাহাজটি সফলভাবে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে আটকে দেয়।
পরে, হাইজ্যাক করা ক্রু সদস্যদের (বাংলাদেশি নাগরিক) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধজাহাজটি সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি অবস্থানে থাকে।
এদিকে, ইইউ নৌবাহিনীও অপারেশন আটলান্টার আওতায় জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছে। শুক্রবার সকালে, ইইউ নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের সংগৃহীত ভিজ্যুয়াল তথ্যে দেখা গেছে, বর্তমানে জাহাজটিতে কমপক্ষে ১২ জন জলদস্যু অবস্থান করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বলছে, সোমালি জলদস্যুরা ডিসেম্বরে মাল্টিজ-পতাকাবাহী বাল্ক কার্গো জাহাজ রুয়েনকে আটক করেছিল। তারা তিনদিন আগে সোমালিয়ার উপকূলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ দখলের জন্য মাল্টিজ জাহাজটি ব্যবহার করে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে জলদস্যুরা।