বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার বিকল্প কী, ঠিক কখন তা প্রয়োগ করা হবে, জানালেন মিলার

বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার বিকল্প কী, ঠিক কখন তা প্রয়োগ করা হবে, জানালেন মিলার

জাতীয় স্লাইড

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩ ১:৪১ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে— এমন যে কোনো ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্প হাতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ তথ্য জানানোর পরই নিষেধাজ্ঞার ইস্যুটি রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।

সামাজিকমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, সরকার, বিরোধী দলসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার নাম। আর প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে মার্কিন দপ্তর। স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে— এমন যে কোনো ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্প কী হতে পারে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেন ম্যাথিউ মিলার।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিকল্প হাতে রাখে যুক্তরাষ্ট্র, যতক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপযুক্ত সময় না হয়, ততক্ষণ তা প্রয়োগ না করে বিকল্প কিছু প্রয়োগ করা হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতো নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে। সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় যেসব দেশে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত, বিনিয়োগ বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। আবার অনেক সময় প্রতিশোধ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এবং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উদ্বেগের প্রসঙ্গও তোলা হয়। এ সময় ‘ভিয়েনা কনভেনশন’-এর বাধ্যবাধ্যকতা তুলে ধরেন মিলার। তার প্রত্যাশা— শুধু মার্কিন নয়, সব বিদেশি মিশন এবং কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *