নভেম্বর ২০, ২০২৪ ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে চীনের ‘রেড লাইন’ এবং নীতিমালা স্মরণ করিয়ে দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
রোববার (১৭ নভেম্বর) পেরুর রাজধানী লিমায় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন দুই নেতা।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, শি জিনপিং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চীনের মৌলিক স্বার্থের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রধান দেশগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য এবং বিরোধ থাকাই স্বাভাবিক। তবে তা দিয়ে একে অপরের মৌলিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করা উচিত নয়’।
চীনের চারটি ‘রেড লাইন’
শি জিনপিং তার বক্তব্যে চারটি প্রধান বিষয়কে ‘রেড লাইন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন:
তাইওয়ান ইস্যু: তিনি জানান, তাইওয়ান ইস্যুতে শান্তি বজায় রাখা এবং ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ চেষ্টার মধ্যে কোনো মিল নেই।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার: চীনের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ব্যবস্থাকে সম্মান জানানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
চীনের বিকাশের অধিকার: চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্বার্থকে সম্মান করার আহ্বান জানান তিনি।
চীনের সার্বভৌমত্ব: দক্ষিণ চীন সাগরসহ সার্বভৌম এলাকায় চীনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন শি জিনপিং।
শি বলেন, ‘উত্তরণশীল শক্তি ও প্রতিষ্ঠিত শক্তির মধ্যে সংঘাত অনিবার্য নয়। তাই নতুন শীতল যুদ্ধ শুরু হওয়া উচিত নয়। কারণ এটি এমন এক যুদ্ধ, যাতে কেউ জয়লাভ করতে পারবে না’।
বাইডেনের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের ‘এক চীন নীতি’তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আশ্বস্ত করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই ব্যবস্থাকে বদলানোর চেষ্টা করবে না বা তাইওয়ানের স্বাধীনতায়ও সমর্থন করবে না।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্র নতুন কোনো শীতল যুদ্ধে জড়াতে চায় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সহযোগিতা জোরদার
উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং মতপার্থক্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেন। শি জিনপিং বলেন, ‘সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একে অপরকে সম্মান জানানোই স্থিতিশীলতা বয়ে আনবে’।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব
চীন জানিয়েছে, এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল চীন-মার্কিন সম্পর্কের মধ্যে অর্জিত স্থিতিশীলতার গতি ধরে রাখা। উভয় নেতা একমত হন যে, একটি স্থিতিশীল চীন-মার্কিন সম্পর্ক শুধু দুই দেশের জনগণের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি