জানুয়ারি ২১, ২০২৪ ১২:২৩ অপরাহ্ণ
রাজধানীর পূর্বাচলে দেশের পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন তিনি।
এর আগে গতকাল শনিবার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবেশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২৪ (ডিআইটিএফ) উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এবার বাণিজ্যমেলার প্রবেশ টিকিট মূল্য গতবারের চেয়ে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শিশুদের টিকিটের মূল্য ২০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ টাকা। এবার বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি। এছাড়া দুই হলে ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দেশীয় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, হংকং, ইরান, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা মেলায় নিজেদের পণ্য বিক্রি ও প্রদর্শন করবেন। একই সঙ্গে থাকছে রেস্তোরাঁ, মসজিদ, ব্যাংক, এটিএম বুথ, শিশু পার্ক এবং মা ও শিশুকেন্দ্র।
এ বছর বাড়ানো হয়েছে বাসের সার্ভিস রুট। ফার্মগেট থেকে মেলা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের নিয়ে যাতায়াত করবে বিআরটিসি পরিবহণ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, পূর্বাচলে মেলা প্রাঙ্গণে নতুন করে বাকি কাজ শেষ করার লক্ষ্যে প্রকল্পের ডিজাইন করা হয়েছে। অতীতের বিভিন্ন সমস্যাও সমাধান করা হয়েছে।
রাস্তার ভোগান্তি না থাকায় এবার ক্রেতা-দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে যাতায়াত করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, এবার উন্নত ও আধুনিক পরিবেশে মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলা উপভোগ করতে পারবেন আগতরা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে। সাধারণত ১ জানুয়ারি থেকে মেলা শুরু হলেও এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত সময়ের পর মেলা শুরু হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য রাজধানীর ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে আলাদা বাস ছাড়বে। মেলায় আসতে ফার্মগেট থেকে ৭০ টাকা এবং কুড়িল থেকে ৩৫ টাকা মূল্যের টিকিট কাটতে হবে দর্শনার্থীদের।
ইপিবি সূত্রে জানা যায়, গত বছর বাণিজ্যমেলায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া ৩০০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক রপ্তানি আদেশ পাওয়া যায়। মেলায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন বলে জানায় ইপিবি। এ বছর দর্শনার্থী ও লেনদেন দুটিই বাড়বে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ স্টল নির্মাণই চলমান রয়েছে।