ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং উনছিপ্রাং সীমান্তে সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের গোলাগুলি আর মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে বিরাজ করছে। এ ঘটনায় সীমান্ত দিয়ে নতুন করে অনুপ্রবেশ রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
শনিবার ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া, লম্বা বিল, উনচি প্রাং সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এলাকাগুলোতে অবস্থিত বিজিপির ঘাটিগুলো দখলে নিতে যে ফায়ারিং তাণ্ডব চালিয়েছে তার শব্দে কেঁপে উঠছিল টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা। এছাড়া মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ফায়ার করা দুইটি গুলির অংশও পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। মর্টারশেলের শব্দ শুনে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মন্তব্য জানাচ্ছেন। কেউ বলছেন মর্টারশেলের শব্দগুলো এত প্রকট ছিল যে মনে হয় ভূমিকম্পকে হার মানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উত্তরের অনেক ঘাটি দখলে নেয়ার পরে নতুন করে লম্বাবিল এলাকার পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কুমিরখালীতে যে বিজিপির ঘাটি রয়েছে সেটি দখলের জন্য বিদ্রোহীরা এমন গোলাগুলি চালিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল বলেন, ভোরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলির শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। পরে দেখি তাদের ফায়ার করা দুইটি গুলির অংশ বাড়ির পাশে পড়েছিল। আমরা অনেক ভয়ে আছি। কারণ আমাদের অজান্তে কখন মানুষের গায়ে গুলি লাগে।
বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, আগের তুলনায় সীমান্তে গোলাগুলি কমেছে। অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, মিয়ানমার অংশ থেকে মর্টারশেলের বিকট আওয়াজ শোনা গেছে বলে অবহিত হয়েছি। তবে সীমন্ত দিয়ে যেন কোনো লোকজন বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য আমরা সর্তক অবস্থানে বয়েছি।
বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে লোকজন অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। তবে আমরা নতুন করে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না।