আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি জিনিস হলো ঘড়ি। দৈনন্দিন কাজে কমবেশি সবাই এই ঘড়ি ব্যবহার করেন।
তবে ঘড়ি এখন আর শুরু সময়ের জানান দেয় না। আজ হাতঘড়ি মানে ফিটনেস কন্ট্রোলার। স্মার্ট ওয়াচের দুনিয়ায় এই ঘড়ি বিপি-সুগার-কোলেস্টরলের হিসেব রাখে। বিরাট কোহলি, সুনীল ছেত্রীদের মতো খেলোয়াড়রা বিশেষ ধরনের ঘড়ি ব্যবহার করেন। সেই সব ঘড়ির দাম আকাশছোঁয়া। আর এই ঘড়ির দাম স্বর্গছোঁয়া। হিরা-মণি-মুক্তা বসানো রাজকীয় ওই ঘড়ির দাম ৫৫ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬০৪ কোটি টাকা। বিশ্বাস হয়? এটাই বিশ্বের সবচেয়ে দামি হাতঘড়ি!
বহুমূল্য এই হাত ঘড়ির নাম গ্রাফ ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন। ২০১৪ সালে লন্ডনের বিখ্যাত গ্রফ ডায়মন্ডস জুয়েলারি হিরা ও বহুমূল্য রত্ন বসানো এই ঘড়িটি তৈরি করে বিশ্বের সবচাইতে দামি ঘড়ি বলে দাবি গ্রাফ ডায়মন্ডস কোম্পানির। ১১০ ক্যারেটের নানা রঙের হিরা বসানো রয়েছে গ্রাফ ডায়মন্ডস কোম্পানির তৈরি এই ঘড়িটিতে। সবচেয়ে বড় হিরাটি বসানো হয়েছে ঘড়ির ডায়ালে, যার নাম পেল্লায় হিরে। নানা রঙের হিরে ও তাদের নানা রকম নিখুঁত নকশা ঘড়িটিকে আরো আকর্ষণীয় করেছে। মোট ৩০ জন অভিজ্ঞ ডিজাইনার, জেমোলজিস্ট, জহুরি মিলে তৈরি করেছেন এই ঘড়ি।
এর আগে এই কোম্পানিই আরো একটি রাজকীয় ঘড়ি প্রকাশ্যে এসেছিল। যার দাম ছিল ৪৩৯ কোটি টাকার মতো। যদিও সেটিকে ছাপিয়ে গিয়েছে ‘ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন’।
ঘড়ির ব্যপারে অনেকেই বেশ শৌখিন। অনেকেই নিজের পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে ঘড়ি পড়তে ভালবাসেন। অনেকে বাড়িতে নানা ধরনের ঘড়ি জমাতে ভালবাসেন। শাহরুখ খান থেকে অনন্ত আম্বানি, দামি ও শৌখিন ঘড়ির কালেকশনে কম যান না কেউ। অনন্ত আম্বানির গ্র্যান্ডমাস্টার টাইম ঘড়িটির দামই নাক ২৪ কোটি টাকা। ৬০৪ কোটির ‘ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশনে’র কাছে সেই ঘড়িও গরিব!