জানুয়ারি ১৫, ২০২৪ ১২:৩৫ অপরাহ্ণ
রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতিসহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। আওয়ামী লীগের নতুন সরকারে দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল রবিবার প্রথম দিনের মতো সচিবালয়ে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে আসেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। মন্ত্রণালয়ে এসে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তাঁদের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ে পৌঁছলে সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষমাণ কর্মকর্তারা নতুন মন্ত্রীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন। শুভেচ্ছা জানাতে সচিবালয়ে ছিল অতিরিক্ত মানুষের চাপ। মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের সুহৃদ-শুভাকাঙ্ক্ষীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন তাঁরা। পরিবর্তন করা হয়েছে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নেমপ্লেট।
সচিবালয় প্রাঙ্গণে অনেককে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে যেতে দেখা যায়। অভ্যর্থনাকারীদের পদচারণে সচিবালয়ের পার্কিং এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে অংশ নেবেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ের মন্ত্রিসভাকক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশি-বিদেশি যেকোনো ষড়যন্ত্র ও চাপ অতিক্রম করার সাহস সরকার রাখে। এগুলোকে ভয় পেলে চলবে না। সাহস রাখতে হবে। রাজনীতি, অর্থনীতি ও ব্যক্তিগত জীবনের সর্বক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
আমি মনে করি, কোনো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা অসম্ভব নয়, সবই অতিক্রম করতে পারবে বর্তমান সরকার।’
নতুন মন্ত্রিসভায় চতুর্থবারের মতো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা সেই চাপ অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখি, সাহস রাখি—পদ্মা সেতু ও রাজধানীতে আধুনিক মেট্রো রেল তার বড় উদাহরণ।’
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ আছে। তবে তা মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে সময় চান তিনি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথম কার্য দিবসে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘চ্যালেঞ্জের কথা আমরা সবাই জানি, এখন সেগুলো সমাধান করতে হবে।’ তবে অগ্রাধিকার হিসেবে এবার রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আমরা জানি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার মনিটর করে—এ ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় কিভাবে হবে।’ জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মিলেমিশে কাজ করতে হবে; অর্থ মন্ত্রণালয় একা পারবে না।’ অর্থপাচার রোধ ও টাকার মূল্য কমে যাওয়া প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেখি, এ বিষয়ে কী করা যায়।’ সামগ্রিক অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা প্রসঙ্গে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘সমস্যা আছে দেখছি, বোঝার চেষ্টা করছি, সমাধানেরও চেষ্টা করব; বসে থাকার মানুষ আমি নই।’
টাকার অবমূল্যায়ন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশেই মুদ্রার বড় ধরনের অবনমন হয়েছে, আমাদের অতটা হয়নি। তবে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সময় লাগবে, দায়িত্ব নিয়েই সব সমস্যার সমাধান করে ফেলব, তা তো আর হয় না।’ এ সময় মন্ত্রণালয়ের কাজ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহায়তা চান অর্থমন্ত্রী।
জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের নিয়ে চিন্তা নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। টানা তৃতীয়বারের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির। সেগুলোর জন্যই আমরা পরিকল্পনা নেব এবং সে অনুযায়ী কাজ করব।’ তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক চাপ সব সময় থাকে। এগুলোর অনেক হিসাব-নিকাশ থাকে। সেগুলো মোকাবেলা করেই প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে যাবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের চাপ ছিল। নানা চাপ উতরে নির্বাচন হয়ে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের নানা পারসেপশন (ধারণা), ন্যারেটিভ (পটভূমি) থাকে। কিন্তু দিন শেষে সবাই একসঙ্গে কাজ করব, এটাই হচ্ছে মূল বিষয়। সবাই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। তবে আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কনসার্নগুলোকে (উদ্বেগ) মূল্য দেব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। নির্বাচন নিয়ে বহু চাপ, গভীর চাপ, মধ্যম চাপ—নানা ধরনের চাপ ছিল। নানা চাপ উতরে নির্বাচন হয়ে গেছে।’
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, ‘কৃষকদের উন্নতির জন্য সাধ্যের মধ্যে যা যা করার তা করা হবে। কৃষিতে তো উৎপাদনটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি উৎপাদন না করতে পারি তাহলে বাজার কিভাবে দখল করব, মূল্য কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, কিভাবে ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইনকে কার্যকর করব। সে জন্য সব সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফসলের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা হবে।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের যাঁরা কর্মী রয়েছেন, তাঁদের কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কারাগারে যেতে হয়নি, তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় কারাগার যেতে হয়েছে এবং মামলা চলমান। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘুদের ওপর এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার করেছিল এবং ২০১৩ সালে যে অগ্নিসংযোগ করেছিল, সে মামলাগুলো থেকেই এখন বিচার সম্পন্ন হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার (ফলকার টুর্ক) যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটি তথ্যগত ভুলের কারণে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা বলব। তার কারণ আমার মনে হয়, তথ্যগত ভুলের কারণে তিনি এ বিবৃতি দিয়েছেন।’
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘রপ্তানি আয় বাড়াতে ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে গার্মেন্টসের মতো চামড়াশিল্পেও প্রণোদনা দেওয়া হবে। চামড়াশিল্পে প্রণোদনা দেওয়ার সঙ্গে কৃষি খাতের অতি প্রয়োজনীয় সার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন আমাদের লক্ষ্য।’
ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত সবাই মিলে টিম হিসেবে কাজ করে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেছেন, তিনি নিজে পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করবেন। মন্ত্রণালয়ের বা বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারাও তাই করবেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে আমরা সবাই অংশীজনের সহায়তা চাই। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমির সঙ্গে জড়িত, এ জন্য টেকসই ও স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে নাগরিক অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির কথা আমিও জানি। আমি চেষ্টা করব। এটুকু বলতে পারি, দুর্নীতির ব্যাপারে আমি জিরো টলারেন্স।’
তিনি বলেন, ‘আমি কখনো দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, তুমি (কাজ) করো। যদি কোনো অসুবিধা হয়, আমাকে টেলিফোন কোরো। আমি সেটাই করব।’
রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলওয়ের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন, এই উন্নয়নকে সামনের দিকে আরো সম্প্রসারণ করে আমরা সবাই মিলে রেলকে একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব।’
সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে বৈষম্য শূন্যে আনার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ক্যাডারবৈষম্যের বিষয়গুলো এরই মধ্যে যথার্থভাবে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। সামনের দিনে এগুলো নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকবে। তারা (সরকার) চাইবে এই বৈষম্য যাতে শূন্যে আসে। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকারের নতুন মেয়াদে কর্মসংস্থানের ওপর বেশি জোর থাকবে।
তিনি বলেন, এ জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে।
বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যত কর্মসংশ্লিষ্ট দক্ষতা আছে সব শিক্ষার্থীর ন্যূনতম সেসব দক্ষতা দেওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ের ওপর আমাদের জোর দিতে বলেছেন। কারণ এবার কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। স্মার্ট সিটিজেন গড়ার জন্য কর্মসংস্থান গড়তেই হবে, এ লক্ষ্যে আমাদের মাল্টি স্কিল (বহুমুখী দক্ষতা) স্মার্ট সিটিজেন খুব প্রয়োজন।’
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, ‘আগামী দিনে দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ। বৈদেশিক যে ষড়যন্ত্রগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কিছু লোকজনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে করা হয় এবং দেশের বিরুদ্ধে যে ডিজ-ইনফরমেশন ক্যাম্পিং হচ্ছে, সেগুলো আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে আরাফাত বলেন, ‘ডিজ-ইনফরমেশন বা অসত্য প্রচারণায় সৃষ্ট গ্যাপ এবং গুজবের ক্যাম্পিংয়ের উৎস একটা একটা করে খুঁজে বের করে সবাই একসঙ্গে এগুলো সমূলে উৎপাটন করব এবং বিশ্বের সামনে আমরা সত্য কথাগুলো নিয়ে আসব।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেছেন, ‘দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের বাজার সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসাই হবে আমার প্রথম কাজ। এ জন্য আমদানিনির্ভর পণ্য ভোজ্য তেল, চিনি, ডালসহ অন্য পণ্যগুলো বিশ্ববাজার থেকে স্থানীয় বাজার পর্যন্ত নজরদারি নিশ্চিত করা। আসন্ন রমজানে সাধারণ মানুষকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য দিতে টিসিবিকে আরো শক্তিশালী করা হবে। বর্তমানে টিসিবি তিনটি পণ্য ন্যায্য মূল্যে দেয়। রোজা উপলক্ষে আরো ছোলা ও খেজুর দেওয়া হবে।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে দায়িত্ব পালনের শপথ নেন। এরপর শুক্র ও শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে নতুন মন্ত্রীদের জন্য গতকালই ছিল প্রথম কার্যদিবস।