অক্টোবর ৩১, ২০২৩ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ
মহাসমাবেশ ও হরতাল-এই দুদিনের কর্মসূচি ঘিরে ফের মামলার খড়্গে পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এবার ৪২২টি মামলায় দলটির ৩১ হাজার ৯৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেফতার হয়েছেন ৫ হাজার ৩১০ জন। এমন পরিস্থিতিতে সারা দেশের বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দেখা মিলছে না কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের। অব্যাহত আছে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান। গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনসহ জরুরি বৈঠক করছেন অনলাইনে। দলটির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
এসব মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়ে সরকারের কোনো সূত্র এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেয়নি। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছ থেকে আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা যায়, বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীতে ৩৭টি মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৫৪৪ জনকে। ২১ থেকে ২৯ অক্টোবর রোববার পর্যন্ত ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছেন ১ হাজার ৭২৭ জন।
বিএনপির দাবি-গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এক লাখের বেশি। এতে আসামি করা হয়েছে প্রায় ৪৪ লাখ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সরকারের একটা বড় অস্ত্র গায়েবি মামলা। আগে যেভাবে গায়েবি ভোট ছিল, সেভাবে গায়েবি মামলা শুরু হয়েছে জোরেশোরে। হজে থাকা অবস্থায় মানুষ পুলিশকে মারধর করে, মারা গেছে, কবরে আছে এসব লোক এসে নাশকতার পরিকল্পনা করে। এসব মামলা দিয়ে সরকার নিজেদের গায়েব হয়ে যাওয়ার একটা পরিস্থিতি তৈরি করছে। এক সময় তারা নিজেরাই গায়েব হয়ে যাবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে এই অবৈধ সরকার আসলে ভীত হয়ে পড়েছে। এজন্যই আবারও মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিতে শুরু করেছে। এ দিয়ে বিএনপিকে দমন করা বা হটানো যাবে না।
এদিকে ব্যুরো, জেলা-উপজেলা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ঢাকার বাইরের ২৮টি মামলার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। সেখানে দেখা যায়, বিএনপির হরতাল চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর-আগুন ও সড়কে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে মামলা হয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এই ২৮ মামলায় ২২৮০ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত এসব জেলায় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার দুপুরের আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বনির্ধারিত মহাসমাবেশ ছিল। এটি শুরুর আগেই কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় দলটির নেতাকর্মীদের। পরে শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড়সহ আশপাশের এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়ে। এসব এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সহিংসতার এ ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা হয়। ঢাকার মামলার এজাহারগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অধিকাংশ মামলার আসামিই বিএনপির পদধারী নেতা। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বড় একটি অংশের নামও এসব মামলার এজাহারে রয়েছে। এদের মধ্যে আছেন-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এখন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে। আসামিদের মধ্যে আরও আছেন-বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লা বুলুসহ অনেক শীর্ষ নেতা।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার কেএন রায় নিয়তি জানান, গত ২৮ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সহিংসতার ঘটনায় এসব মামলা হয়। এজাহারভুক্ত ১ হাজার ৫৪৪ জন আসামির বাইরেও এতে অজ্ঞাতনামা অনেক আসামি রয়েছেন।
ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, এজাহারনামীয় আসামির বাইরে এই ৩৭টি মামলায় ৫ হাজার ২০৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি মামলায় সবাই অজ্ঞাতনামা আসামি। এই সংখ্যা ১ হাজার ৪০৭ জন। এর মধ্যে ২৯ অক্টোবর তারিখে মতিঝিল থানার ২৩ ও ২৪নং মামলায় ২০০ জন, শাহজাহানপুর থানার ২৫, ২৬ ও ২৭নং মামলায় ৪০৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ৩০ অক্টোবর মিরপুরের পল্লবী থানার ৫৮নং মামলায় ৫০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি।
ডিএমপি আরও জানায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৯ দিনে ঢাকা থেকে মোট ১ হাজার ৭৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ অক্টোবর ৩১ জন, ২২ অক্টোবর ৪২ জন, ২৩ অক্টোবর ৪২ জন, ২৪ তারিখ ৮৫ জন, ২৫ তারিখ ১১১ জন, ২৬ তারিখ ২০২ জন, ২৭ তারিখ ৩৪০, ২৮ তারিখ ৬৯৬ এবং ২৯ তারিখ ২৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর ৩৭টি মামলার মধ্যে রমনা থানায় ২টি, শাহবাগ থানায় একটি, মতিঝিল থানায় একটি, পল্টন থানায় তিনটি, শাহজাহানপুর থানায় ৬টি, খিলগাঁও থানায় একটি, রামপুরা থানায় একটি, মুগদা থানায় একটি, ওয়ারী থানায় একটি, যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এছাড়া হাতিরঝিল থানায় একটি, কাফরুল থানায় একটি, দারুসসালাম থানায় একটি, শাহআলী থানায় একটি, রূপনগর থানায় একটি, ভাষানটেক থানায় একটি, পল্লবী থানায় দুটি, ভাটারা থানায় তিনটি, উত্তরা পূর্ব থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। এর বাইরে ডেমরা থানায় একটি, হাতিরঝিল থানায় একটি, মিরপুর মডেল থানায় একটি ও বাড্ডা থানায় একটি মামলা হয়।
এদিকে বিএনপির দেওয়া তথ্য যাচাই করতে সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর জানান, এই মুহূর্তে ২৮ অক্টোবর ঘিরে মামলা ও গ্রেফতারের তথ্য তাদের কাছে নেই। তারা মাসিক হিসাবে গ্রেফতারের তথ্য পান। চলতি মাস শেষে মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।
এদিকে মামলার অনেক আসামির অভিযোগ, কেবল বিএনপি করার কারণে ঘটনাস্থলে না থেকেও তারা আসামি হয়েছেন। অনেকে আবার বিএনপি ছেড়ে দিয়েও আসামি হয়েছেন। ঘটনাস্থলে না থেকেও এজাহারনামীয় আসামি হওয়ার অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। কারাগারে থেকেও মামলার আসামি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুলশানের সাহাব উদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন অভিযোগ করেন, তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেন। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তিনি ও তার ছেলে ফয়সাল আল ইসলাম তাদের মেডিকেল কলেজে অবস্থান করছিলেন। এরপরও পল্টন থানার এক মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে।
ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
সিলেট : জেলায় পাঁচ মামলায় ৬৯ জনের নামোল্লেখসহ ৫৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এয়ারপোর্ট থানায় একটি, জালালাবাদ থানায় একটি, দক্ষিণ সুরমা থানা একটি, কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা হয়। হরতালের সময় গ্রেফতার সাত নেতাকর্মীকে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
বগুড়া : পুলিশ ও আনসার সদস্যের করা দুই মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ অনেককে আসামি করা হয়েছে।
সোনাগাজী (ফেনী) দক্ষিণ : সোনাগাজীতে বিএনপির ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে। রোববার রাতভর পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) : উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে রোববার রাতে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ২০ জনের নামোল্লেখসহ ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
টঙ্গী শিল্পাঞ্চল (গাজীপুর) : টঙ্গীতে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৩০ জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পিয়াস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
চাটমোহর (পাবনা) : চাটমোহরে বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি ও শ্রমিক দলের দুই নেতাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। রোববার রাতে উপজেলার মূলগ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
শেরপুর : জেলার পাঁচ উপজেলা থেকে গ্রেফতার হওয়া বিএনপির ৫৬ নেতাকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে রোববার সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার ৫৬ জনসহ বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে জেলার পাঁচ থানায় ছয়টি মামলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ : যান চলাচলে বাধা ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুহেল মিয়াসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।
রাজবাড়ী : রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের বিনোদপুর কলেজ পাড়া এলাকায় পার্কিংয়ে থাকা একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রায় দুই মাস ধরে ওই স্থানে রাখা ছিল।
খাগড়াছড়ি : পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছারসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ১০ নেতাকর্মীকে গায়েবি মামলায় গ্রেফতারের অভিযোগ বিএনপির।
ভোলা ও চরফ্যাশন : চরফ্যাশন দক্ষিণ আইচা বিএনপি অফিস ও স্থানীয় ক্যাডেট স্কুলসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার রাতে এ হামলা চালানো হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চরমানিকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ হাওলাদার।
হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) : বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের বিরুদ্ধে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেছে এসআই সোহেল আহমেদ। এ মামলায় আরও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : কালিয়াকৈরে আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী মিছিলে হামলার ঘটনায় বিএনপির ১৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। রোববার রাতে মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : দুই মামলায় বিএনপির ৬৬৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। ভালুকা মডেল থানার এসআই মাইনকুল ইসলাম ও এসআই ছামিউল হক বাদী হয়ে রোববার রাতে মামলা দুটি করেন।
সেনবাগ (নোয়াখালী) : উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওবাদুল হক, সদস্য সচিব মাস্টার মোক্তার হোসেন ইকবালসহ ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ২৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে ফতুল্লা মডেল থানায় এ মামলা হয়েছে।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : মহাসড়কে নাশকতার অভিযোগে বিএনপির ৭৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। রোববার বিকালে রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা হয়েছে।
কয়রা (খুলনা) : বিএনপি-জামায়াতের ৪২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) : রোববার রাতে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা ও চরহাজারী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে বিএনপির তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) : বিএনপির ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। রোববার রাতে সোনারগাঁ থানার এসআই মহিবুল্লাহ মামলাটি করেন।
এদিকে রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত নওগাঁর রাণীনগরে চার, চট্টগ্রামের চন্দনাইশে সাত, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সাত, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চার, পটুয়াখালীর বাউফলে আট, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১৫, রাজশাহীর বাঘায় ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুুলিশ।