মাত্র ১২৫ টাকায় ট্রেনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার

মাত্র ১২৫ টাকায় ট্রেনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার

দেশজুড়ে

নভেম্বর ১৩, ২০২৩ ২:১৬ অপরাহ্ণ

সদ্য চালু হওয়া ঢাকা-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রেনের ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৫৩৫ কিলোমিটার ভাড়া আদায়যোগ্য দূরত্বে লোকাল ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়া ১২৫ টাকা এবং আন্তঃনগর ট্রেনে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চূড়ান্ত তালিকায় দেখা গেছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া লাগবে ১২৫ টাকা আর মেইল ট্রেনে লাগবে ১৭০ টাকা। শোভন চেয়ারে ৫০০ ও এসি বার্থে (ভ্যাটসহ) পড়বে ১ হাজার ৭২৫ টাকা। এছাড়া সুলভ শ্রেণির ২৫০, শোভন শ্রেণির ৪২০, প্রথম চেয়ার/সিট ভাড়া (ভ্যাটসহ) ৬৭০, প্রথম বার্থের (ভ্যাটসহ) ১ হাজার, স্নিগ্ধা শ্রেণির (ভ্যাটসহ) ৯৬১ এবং এসি সিট শ্রেণির ভাড়া ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর কমিউটার ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২১০ টাকা।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বাণিজ্যিক দূরত্ব ৫৩৫ কিলোমিটার ধরে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করেন। এরপর কক্সবাজার থেকে রামু স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনে ভ্রমণ করেন তিনি।

এ রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার। রেলপথটি বাংলাদেশকে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত করবে। বাংলাদেশে রেলওয়ের লক্ষ্য, ২০৪৫ সালের মধ্যে দেশের ৬০টি জেলায় রেল নেটওয়ার্ক স্থাপন করা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের জন্য ২০১০ সালে ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল এ সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দোহাজারী-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অনুমোদনের ১৩ বছর পর প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হলো। এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *