অক্টোবর ১৭, ২০২৩ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের সার্বিক সুস্বাস্থ্য ও ভালো থাকার অন্যতম অনুষঙ্গ। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, বৈশ্বিক সংকট, প্রাকৃতিক, মানবসৃষ্ট দুর্যোগ ইত্যাদিতে মানসিক চাপ এবং অন্যান্য কারণে বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগ দেখা দেয়। মানসিক সমস্যা ব্যক্তির শারীরিক স্বাস্থ্য, জীবনযাপন ও পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
মানসিক রোগের উপসর্গ
মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
> দীর্ঘস্থায়ী মন খারাপ, অশান্তি, হতাশা, নেতিবাচক চিন্তা
> ঘুম কম বা বেশি হওয়া, দুঃস্বপ্ন দেখা
> আত্মহত্যার চিন্তা বা চেষ্টা, নিজের ক্ষতি করা, হাত-পা কাটা
> অতি উদ্বেগ, অস্থিরতা, অতি খুঁতখুঁতে আচরণ, অনিচ্ছা সত্ত্বেও একই চিন্তা বা কাজ বারবার করা, সামাজিক পরিবেশে বা মানুষের সামনে ভীতি বা অস্বস্তি, মনোযোগ ও স্মরণশক্তি কমে যাওয়া
> মানসিক চাপজনিত কারণে শারীরিক সমস্যা যেমন- শরীরের নানা স্থানে ব্যথা, বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, শক্তি না পাওয়া, খিঁচুনি ভাব, মূর্ছা যাওয়া ইত্যাদি
> অস্বাভাবিক সন্দেহ প্রবণতা, ভ্রান্ত বিশ্বাস, গায়েবি কথা শুনতে পাওয়া বা গায়েবি দেখা, একাকী বিড়বিড় করা, অসংলগ্ন কথা বলা, হঠাৎ বেশি কথা, অত্যধিক ও সাধ্যের অতিরিক্ত খরচ বা দান করা, প্রকৃত অবস্থার তুলনায় নিজেকে অনেক ক্ষমতাবান বা সম্পদশালী বা বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী মনে করা, অস্বাভাবিক আচরণ, অস্বাভাবিক রাগ, মারধর ও ভাঙচুর করা
> মাদক আসক্তির কারণে বিভিন্ন শারীরিক-মানসিক প্রতিক্রিয়া
> নানা ধরনের মনোযৌন সমস্যা যেমন- দ্রুত বীর্যপাত, যৌনতাবিষয়ক দুশ্চিন্তা ও ভুল ধারণা, যৌনাঙ্গের আকার নিয়ে দুশ্চিন্তা ইত্যাদি
করণীয়
কারো মধ্যে হঠাৎ করে উপরোক্ত উপসর্গ দেখা দিলে গুরুত্ব দিতে হবে।
তবে মানসিক রোগ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে এসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সে জন্য রোগ নির্ণয়ে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বা সাইকিয়াট্রিস্ট বিস্তারিত ইতিহাস শুনে, রোগীর সঙ্গে কথা বলে বা তার আচরণ লক্ষ করে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবেন যে এসব উপসর্গ কোনো মানসিক রোগের কারণে দেখা দিয়েছে কি না।
রোগ হলে
মানসিক রোগের ধরন অনুযায়ী ওষুধ, সাইকোথেরাপি ও অন্যান্য চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে।
কোন রোগের জন্য কোন ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন, তার গবেষণাভিত্তিক দিকনির্দেশনা রয়েছে। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ রোগীর রোগ নির্ণয় করে তার জন্য কোন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, সেই পরামর্শ দেবেন।