সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ ১:২১ অপরাহ্ণ
বিবাহবহির্ভূত বা পরকীয়া সম্পর্ক দাম্পত্য জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এর পরিণতি কখনো কখনো হতে পারে মারাত্মক। দাম্পত্য জীবনে অশান্তি, মনোমালিন্য, মতের অমিল, একে অপরকে সময় না দেওয়া ইত্যাদি কারণে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেকেই।
বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত, বয়সভেদে এক সম্পর্কে থেকে অন্য সম্পর্কে জড়ান অনেকেই। সম্প্রতি শুধু বিবাহিতদের জন্য তৈরি করা একটি বিদেশি ডেটিং সাইটের সমীক্ষা অনুযায়ী, শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে খুশি নন, এমন বিবাহিতরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরকীয়ায় জড়ান।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ বিবাহিতরা যারা পরকীয়ায় জড়িয়েছেন তারা কারণ হিসেবে যৌনতাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২৬ শতাংশ কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। আর ১৫ শতাংশ ওপেন রিলেশনশিপের কথা স্বীকার করেছেন, অর্থাৎ সঙ্গীকে জানিয়েই তারা অন্য সম্পর্কে আছেন।
অস্ট্রেলিয়াবাসীদের মধ্যে করা এই সমীক্ষায় আরও জানা গেছে, পরকীয়ায় জড়িতদের মধ্যে ৩৯ শতাংশই জানিয়েছেন তারা বিবাহিত সম্পর্কে বেশ খুশিই আছেন। পরকীয়া করছেন এমন মানুষদের মধ্যে ৩৩ শতাংশই অন্য সঙ্গীর সঙ্গে থাকার সময় স্ত্রী বা স্বামীকে অজুহাত দেন যে তারা অফিসের কাজে ব্যস্ত।
২৮ শতাংশ বলেন, তারা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আছেন। ২৩ শতাংশ অফিসের কোনো অজুহাত দেন। এ ছাড়া কেউ বলেন তারা অফিসের ট্রিপে আছেন, আবার কেউ কেউ নিজের সঙ্গে অর্থাৎ পার্সোনাল টাইম পাসের বাহানা দেন সঙ্গীকে।
প্রায় ১০ শতাংশ পুরুষ জিমে যাচ্ছে, রানিংয়ে যাচ্ছে বা কেনাকাটা করছে বলে সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করে অন্যজনের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন ও সময় কাটান। কোন পেশার লোকজন বেশি পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, সেই নিয়েও সমীক্ষা চালানো হয়েছে।
ডেটিং সাইটের সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, নারীদের মধ্যে শিক্ষিকা, নার্স, ম্যানেজাররা বেশি পরকীয়ায় জড়ান। পুরুষদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজাররা বেশি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এই ফলাফলগুলো ‘অ্যাশলে ম্যাডিসনের’ একটি পূর্ববর্তী জরিপের ফলাফল।
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট