উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা কর্মকর্তা ‘কিম কি নাম’ মঙ্গলবার মারা গেছেন। ৯৪ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি।
বুধবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নেতাদের রাজনৈতিক বৈধতা দৃঢ় করতে তাদের পক্ষে প্রচারণা চালানোর কাজ করতেন তিনি। উত্তর কোরিয়ায় তিন প্রজন্ম ধরে শাসনক্ষমতায় থাকা নেতাদের সবার সঙ্গেই কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কিম জং উন মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ‘কিম কি নাম’র মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উত্তর কোরিয়ার হাতে গোনা যে কয়েকজন কর্মকর্তা দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেছেন, তাদেরই একজন কিম কি নাম। ২০০৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম দে-জুংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কিম কি নাম।
কিম দে-জুং হলেন সেই নেতা, যিনি তার ‘সানশাইন নীতি’ দিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের যুগের সূচনা করেছিলেন। বর্তমান নেতা কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন কিম কি নাম। ২০১১ সালে কিম ইল মারা যান।