মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের ছোড়া গুলি এসে লেগেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাবের হোসেনের পায়ে। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন তিনি।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এর আগে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির হামলা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেন ২৯ বিজিপি সদস্য।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২৯ বিজিপি সদস্যদের খোঁজ নিতে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে জামছড়ি এলাকা সীমান্তে যান গুলিবিদ্ধ সাবের। বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ একটি গুলি তার বাঁ পায়ের হাঁটুতে লাগে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা স্থানীয় সংবাদকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) আবু জাফর মোহাম্মদ ছলিম বলেন, কয়েকজন সংবাদকর্মী গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য সাবের হোসেনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করে দিই। গুলিবিদ্ধ স্থান এক্স–রে করলে জানা যাবে গুলি ভেতরে রয়েছে কি না। তবে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি।
আহত সাবের হোসেনের সঙ্গে থাকা নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল হামিদ বলেন, বিজিপি সদস্যদের বিষয়ে খোঁজ নিতে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ইউপি সদস্যসহ আমরা অনেকে জামছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখায় যায়। এ সময়ও মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলি হচ্ছিল। বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ একটি গুলি সাবের হোসেনের পায়ে লাগে। আমরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি।
আহত ইউপি সদস্য সাবেরের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তার নিকট আত্মীয় ফোন রিসিভ করে বলেন, হাসপাতালে প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। ভাগ্য ভালো যে গুলি বেরিয়ে গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, সাবের গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে শুনেছি। তার দ্রত সুস্থতা কামনা করছি।