দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানরা আলোচনার জন্য মিয়ানমারে গেছেন। এই ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। মিয়ানমার জান্তার এ আমলে এটি একটি বিরল ঘটনা।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দেশগুলোর বাণিজ্য বিষয়ক জোট বিমসটেকের সম্মেলন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানী ইয়াঙ্গুনে গিয়েছেন বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড ও শ্রীলংকার জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানরা।
শুক্রবার আলোচনা শুরুর আগে বিমসটেকের সদস্যরাষ্ট্রের দেশগুলোর নিরাপত্তা প্রধানরা মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা, মাদক নির্মূল, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মানব পাচার রোধে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে জানিয়েছে দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট।
২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন শুরু হয়। সম্প্রতি তারা রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বিরোধের মুখে পড়েছে। এই মুহূর্তে সামরিক সরকারকে মিয়ানমারের ন্যাশনাল ইউনিটি সরকারের পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো জান্তার দমন-পীড়নের সমালোচনা করে আসছে গত ৩ বছরে। তবে সেসব সমালোচনাকে দৃশ্যত গুরুত্ব দিচ্ছে না সামরিক সরকার।
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ, ভারত ও থাইল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে। বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ মিয়ানমারে সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় চলমান বিমসটেক সম্মেলনে তারা কোনো দূত পাঠায়নি।
জাতিসংঘও সামরিক সরকারকে মেনে নেয়নি; বরং অং সান সু চির সরকারের দূতকেই দেশটির প্রতিনিধি মনে করে জাতিসংঘ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকগুলোতেও জান্তা সরকারকে অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে না।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে