নভেম্বর ২২, ২০২৩ ১১:২২ পূর্বাহ্ণ
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মারাকানায় ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার মাঠের লড়াই শুরুর আগেই শিরোনামে দর্শকরা। গ্যালারিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তৈরি হয় ভয়াবহ অবস্থা। এমনকি তাতে যুক্ত হয় পুলিশও। এ অবস্থায় মেসির এক বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তেই স্টেডিয়ামে সংঘাত আর বাড়েনি।
বুধবার দুই পক্ষের দর্শকদের সামাল দিতে লাঠিচার্জের আশ্রয় নিয়েছিলেন স্থানীয় পুলিশ। তবে সেই তিক্ততা ছড়িয়ে পড়েছিল মাঠেও। নিজ দেশের সমর্থকদের উপর হামলার প্রতিবাদে মাঠ ছেড়ে যান আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। মেসির নেতৃত্বে সবাই চলে যান লকার রুমে।
ঘটনার সূত্রপাত আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত চলাকালে। আলবিসেলেস্তেদের জাতীয় সংগীত চলাকালে আচমকাই দুয়ো দিতে শুরু করেন ব্রাজিল সমর্থকরা। স্বাভাবিকভাবেই তা ভালোভাবে নেননি সে দেশের সমর্থকরা। শুরু হয় দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ।
যার ফলে পুরো দল নিয়ে টানেলে ফিরে যান অধিনায়ক মেসিও। তিনি দল নিয়ে চলে গেলে দর্শকদের মাঝে হানাহানির বদলে খেলার চিন্তা ফিরে আসে। ফলে দ্রুত থেমে যায় সহিংসতা। আহত হওয়ার থেকে বেঁচে যান অসংখ্য মানুষ।
ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ মেসি জানান নিজের প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি পুলিশ কিভাবে মানুষের ওপর চড়াও হচ্ছিল। আমাদের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও ওখানে ছিল। কোপা লিবার্তাদোরেসের ফাইনালেও একই কাজ করেছে তারা (ব্রাজিলের পুলিশ)।
তিনি আরো বলেন, মাঠে খেলার চেয়ে অন্যদিকেই তাদের মনোযোগ বেশি থাকে। আমরা একটা পরিবার। পরিস্থিতি শান্ত করতেই আমরা ফের মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি।