সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩ ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ
মোংলা-খুলনা রেলপথ নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অক্টোবরের শেষে এ রেলপথ চালু হবে। মোংলা বন্দর ব্যবহার ও ট্রানজিট হিসাবে পণ্য পরিবহণে ভারত, ভুটান ও নেপাল রেলপথ ব্যবহারের সুবিধা পাবে।
জানা গেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ রুটসহ প্রতিবেশী দেশগুলোয় এ রেলপথ বিস্তৃত হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক আরিফুজ্জামান জানান, মোংলা-খুলনা রেলপথের নির্মাণকাজ এখন একেবারেই শেষের পথে। আগামী অক্টোবরের শেষে খুলনা-মোংলা রেলপথ (ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দরের দিগরাজ) দিয়ে রেল চলাচল শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে কাজ। কিছু ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। চলতি মাসের মধ্যেই সব কাজ শেষ হবে। তিনি জানান, ট্রানজিট সুবিধার আওতায় মোংলা বন্দর থেকে ভারত, নেপাল ও ভুটান পণ্য পরিবহণ করতে পারবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী শেখ শওকত আলী জানান, রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জাহাজ ভেড়ানোর জেটিসংলগ্ন রেলস্টেশন ছাড়াও আমদানি-রপ্তানি পণ্য উঠানো-নামানোর জন্য ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ রুটসহ আন্তর্জাতিক রুটে পণ্য পরিবহণ সহজ ও দ্রুত হবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা জহিরুল হক বলেন, বর্তমানে বন্দরে বছরে এক লাখ টিউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে। ভারত, ভুটান ও নেপাল ট্রানজিট ব্যবহার করলে বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ টিউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হবে। তিনি আরও বলেন, বাড়তি চাপ সামাল দেওয়ার সক্ষমতা বন্দরের রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুলতান আহম্মেদ বলেন, মোংলা-খুলনা রেলপথের মাধ্যমে মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগের মাধ্যমে গার্মেন্টস পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য কম খরচে মোংলা বন্দর থেকে পরিবহণ করা যাবে। বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনের সংসদ-সদস্য ও উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় আন্তরিক। প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান ও নেপাল নৌপথের পাশাপাশি মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহণের সুবিধা পাবে।