মোসাদ প্রধানের যে প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করল হামাস

মোসাদ প্রধানের যে প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করল হামাস

আন্তর্জাতিক

সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪ ৯:২১ পূর্বাহ্ণ

অবরুদ্ধ গাজার ফিলাডেলফি করিডোর নিয়ে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়ার মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির একজন শীর্ষ নেতা আল মায়াদিনকে বলেন, বার্নেয়া মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছেন যে, ইসরাইলি বাহিনীকে ‘চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে ফিলাডেলফি করিডোর থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে’। যা হামাসের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়।

হামাসের এই নেতা জানান, হামাস চায় যে দখলদার বাহিনী প্রথম পর্যায়েই ফিলাডেলফি করিডর থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করুক। কারণ চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য কোনো নির্ভরযোগ্য গ্যারান্টি নেই।

এদিকে ইসরাইলি চ্যানেল টেন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রস্তুত করছে, যা সম্ভবত এ সপ্তাহের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা

সম্প্রতি মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নেয়া মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছেন, ইসরাইল দ্বিতীয় পর্যায়ে বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলাডেলফি করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করিডোরটির ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার বিষয়ে অবিচল।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় অবশ্য এ তথ্য অস্বীকার করেনি। তবে জানিয়েছে যে, ইসরাইলি মন্ত্রিপরিষদ এখনও চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বাধ্য নয়।

এ বিষয়ে ইসরাইলের মাকান চ্যানেল ওয়েবসাইট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার সম্প্রতি একটি যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় নিয়ে একটি কাঠামো তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু করেছে।

ইসরাইলি সাইটটি জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা আগামী শুক্রবারের মধ্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মাধ্যমে মৌলিক বিষয়গুলো প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে।

মূলত এ কারণেই বার্নেয়া গত সোমবার দোহায় গিয়েছিলেন। যেখানে আগামী দিনগুলোতে আলোচনা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

মধ্যস্থতাকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর সরকার মূলত চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরাইলি সেনার উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য জোর দিয়ে চলছে। যার মধ্যে সেনা সংখ্যা কমানোর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি পরিকল্পিত।

এই প্রেক্ষাপটে, মাকান চ্যানেল একটি মিসরীয় সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, নেতানিয়াহু কেবল নিজের স্বার্থেই ইসরাইলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে প্রস্তুত। মিসরের সাম্প্রতিক মনোযোগ নেতানিয়াহুর প্রেস কনফারেন্সের প্রতি ছিল, যেখানে তিনি মিসরকে ফিলাডেলফি করিডোর সম্পর্কে প্রচারের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন। যা মিসরীয়দের পক্ষ থেকে যথেষ্ট আপত্তিকর মনে হয়েছে। সূত্র: আল-মায়াদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *