অক্টোবর ৭, ২০২৪ ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ
গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি দেশটির বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ম্যাক্রোঁ শনিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি মনে করি, আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধানে ফিরে আসি এবং গাজায় যুদ্ধের জন্য অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করি’।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরাইলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৪১,৮২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এমন প্রেক্ষাপটে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের কোনো কথাই শোনা হচ্ছে না। সেই সঙ্গে তিনি গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সংকল্পকে একটি ‘বড় ভুল’ বলেও অভিহিত করেন।
ম্যাক্রোঁর এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রোববার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার ওই আহ্বানকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন এবং অভিযোগ করেন যে, ইসরাইলকে ‘সভ্যতার শত্রুদের বিরুদ্ধে সাতটি ফ্রন্টে আত্মরক্ষার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে’।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী দাবি করে বলেন, সমস্ত সভ্য দেশগুলোর উচিত ইসরাইলের পাশে দাঁড়ানো। কারণ তারা ইসরাইলের আক্রমণকে ‘বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য’ প্রয়োজনীয় বলে দাবি করেন।
নেতানিয়াহু এ সময় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান যে, ইসরাইল তার আক্রমণ ‘জয় না হওয়া পর্যন্ত’ চালিয়ে যাবে, তাতে মিত্রদের সমর্থন থাকুক বা না থাকুক, তারা বিজয়ী হবেই।
এদিকে নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ম্যাক্রোঁর অফিস থেকে জানানো হয় যে, ফ্রান্স ইসরাইলের ‘অবিচল বন্ধু’ হিসেবেই ছিল।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেও ফ্রান্স ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখে। যদিও ২০১৪ সালে স্বাক্ষরিত একটি অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী, স্লিভার উপকূলীয় জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইল সামরিক আক্রমণ চালালে ফ্রান্সের অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করার বাধ্যবাধকতা ছিল।
অন্যদিকে লক্ষ্য করা গেছে যে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির নেতৃত্বে ইসরাইলের মিত্ররা দেশটিকে লক্ষ লক্ষ ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করেছে। যা দিয়ে ইসরাইল হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে চলেছে। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি