এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ
কাঠফাটা গরম বৈশাখের শুরুতেই। গরমের তীব্রতায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বাড়ি থেকে বেরলেই হাঁসফাঁস করছেন সকলে। কিন্তু কাজকর্মের জন্য বেরতেও হচ্ছে সবাইকে। ফলে এই গরমে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি পোশাকের দিকেও নজর রাখতে হবে সকলকে। গরমে সঠিক পোশাক না পরলেই হিতে বিপরীত হবে। খেয়াল রাখা উচিত রঙের দিকেও।
অনেকেই বলেন, হালকা রঙের পোশাক পরলে গরম কম লাগে। কথাটা ঠিক। সত্যিই সাদা রঙের পোশাক পরলে গরম কম লাগতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায়, সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। কিন্তু সব বস্তুর এই তাপীয় বিকিরণ শোষণ করার ক্ষমতা সমান নয়।
সাদা রঙের তাপীয় বিকিরণ শোষণ করার ক্ষমতা সবচেয়ে কম। অপর দিকে কালো রঙের বস্তু এই তাপ শোষণ করে সবচেয়ে বেশি। এ কারণে সাদা রঙের বস্তু, কালো রঙের বস্তুর তুলনায় কম তাপ শোষণ করে। তাই গরমে সাদা রঙের পোশাক কম উত্তপ্ত হয় ও গাঢ় রঙের পোশাক পরলে হাঁসফাঁস অবস্থা হতে পারে।
এছাড়া গরমে পরতে পারে হালকা গোলাপি, হলুদ, কিংবা সবুজ রঙের পোশাক ৷ দিনের বেলা উজ্জ্বল রং বাছাই না করাই ভালো৷ গরমকালে জমকালো রং একটু এড়িয়ে চলাই উচিত। আঁটোসাঁটো পোশাকের পরিবর্তে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন৷ রোদে বেরনোর সময় ফুলহাতা পোশাক পরুন৷ ব্যবহার করতে পারেন টুপি কিংবা স্কার্ফ অফিসে যাওয়ার সময় ব্যাগে অতিরিক্ত পোশাক নিন৷ রোদে ঘামে ভিজে যাওয়া জামার পরিবর্তে অফিসে ঢুকে জামা পাল্টে নিন। রেশম, জিন্সের পরিবর্তে পরুন সুতির কাপড়৷
ছেলেরা পোশাকের ক্ষেত্রে ফ্রেবিকের কথা মাথায় রাখুন। সে ক্ষেত্রে সুতির চেয়ে আরামদায়ক আর কিছুই হতে পারে না। সুতি বা তাঁতের তৈরি কাপড়ের পোশাক হতে পারে আপনার স্বস্তিদায়ক গরমের সঙ্গী।
এটা ঠিক প্রকৃতির রূপের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন। কিন্তু কিছু কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সহজ হতে পারে গরমের সঙ্গে লড়াই করা। তাই এ সময় সাদা বা হালকা রঙের পোশাক পরলে কিছুটা হলেও আরাম মিলতে পারে।