যেসব লক্ষণে বুঝবেন লিভারে বিষ জমেছে, প্রতিকারের উপায় কী?

যেসব লক্ষণে বুঝবেন লিভারে বিষ জমেছে, প্রতিকারের উপায় কী?

স্বাস্থ্য

নভেম্বর ১৩, ২০২৪ ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

নিজের শরীরকে কখনো অবহেলা করবেন না। পুরোপুরি সুস্থ থাকতে নিজেকে যত্ন নিন। কারণ একটু অবহেলা করলেই লিভারে জমে যেতে পারে বিষ। আর এ থেকে হতে পারে একাধিক জটিল রোগ। জেনে নিন কীভাবে লিভারে বিষ জমে।

লিভার ডিটক্সিফাই

আমাদের শরীরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হলো লিভার। এই অঙ্গটি শরীর থেকে টক্সিনকে (বিষ) বের করে দেয়। সেই সঙ্গে বিপাকের হার নিয়ন্ত্রণ করে। এর পাশাপাশি হজমে সাহায্যও করে এই অঙ্গটি। তাই বিশেষজ্ঞরা এই অঙ্গের দিকে নজর ফেরানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

যদিও মুশকিল হলো— আমাদের ভুল খাদ্যাভ্যাসের ফাঁদে পড়ে বিপদে পড়ছে লিভার। এই অঙ্গে জমছে বিষ। যার জন্য একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই তো চিকিৎসকরা নিয়মিত লিভারকে পরিষ্কার (ডিটক্সিফাই) করার পরামর্শ দেন। নইলে বড়সড় সমস্যা হতে পারে বলেই মনে করছেন তারা।

কী কী বিপদ হতে পারে তা জেনে নেওয়া উচিত— 

১. লিভারে ক্ষতিকর উপাদান জমলে ক্লান্তি পিছু নিতে পারে

২. কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফোলা ও ডায়ারিয়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে

৩. প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হয়ে যেতে পারে

৪. পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া সম্ভব

৫. ব়্যাশ বেরোতে পারে

৬. হতে পারে চুলকানি

৭. বারবার মুড সুইং হওয়ার আশঙ্কা থাকে

৮. মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে পারে

৯. শরীরে পানি জমতে পারে

১০. ফ্যাটি লিভার ও লিভার সিরোসিসেও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে

তাই চেষ্টা করুন যেভাবেই হোক নিয়মিত লিভারকে পরিষ্কার করে ফেলার। আর সেই কাজটি করতে চাইলে মেনে চলুন এসব নিয়ম—

প্রতি ১৫ দিনে একদিন একটু বেশি পরিমাণে পানি পান করুন। প্রতিদিন যদি ২.৫ লিটার পানি পান করেন, তাহলে এদিন ৩.৫ লিটার পানি পান করতে হবে। তা হলেই লিভারে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বেরিয়ে যাবে। বাড়বে এই অঙ্গের কার্যক্ষমতা। তাই বিশেষজ্ঞরা সবাইকে এ নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন।

তবে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ থাকলে আবার বেশি পরিমাণে পানি পান করবেন না। তাতে শরীরের হাল বিগড়ে যাবে।

 এ সময় অবশ্যই শাকসবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। কারণ এসব প্রাকৃতিক খাবারে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভারের প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে এই অঙ্গে মজুত ক্ষতিকর সব উপাদানকে বের করে দিতেও সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন শাকসবজি সিদ্ধ করে রান্না করে খাওয়ার। আর যেসব শাকসবজি কাঁচা খাওয়া যায়, সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আরও বেশি উপকার পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *