সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪ ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ
পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ দল। ঐতিহাসিক এ সিরিজ জয়ের অন্যতম নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাট–বলে পারফর্ম করে জিতেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কারও, যা দেশের বাইরে তার জন্য প্রথম।
পাকিস্তানে প্রথম টেস্ট চলাকালেই মিরাজ সিদ্ধান্ত নেন যে, নিহত সেই রিকশাচালকের পরিবারের জন্য কিছু করবেন তিনি। সিরিজসেরার পুরস্কার পাওয়ায় সেই কাজটা আরও সহজ হয়েছে তার জন্য।
সদ্যই বিসিবি প্রকাশিত এক ভিডিওতে মিরাজ বলেছেন, প্রথম টেস্টের শেষ দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছিলাম একটা ছেলে কান্না করছে। ছেলেটার বয়স আমার ছেলের বয়সের মতোই। কান্না করতে করতে তার বলা ‘আমার বাবা মারা গেছেন নামাজ পড়তে গিয়ে, গুলি খেয়ে মারা গেছেন, আমি রক্ত দেখেছি। আমার বাবা ফিরে আসে না’ -কথাগুলোই আমার এখনো কানে বাজে।
মিরাজ আরও বলেছেন, ছেলেটার কথাগুলো শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছিল। তখনই নিয়ত করেছিলাম। ‘ম্যান অব দ্য সিরিজ’ হব কি না, তা তো জানতাম না। তবে দেশে এসে ওদের সাহায্য করব, সেটা তখনই নিয়ত করেছি। যেহেতু ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছি, সেটাই আমি উৎসর্গ করে দিয়েছি।
পাকিস্তানের মাটিতে দুই টেস্টে ব্যাট হাতে ১৫৫ রান (৭৭+৭৮) করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১০ উইকেট। এর মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর লিটন দাসের সঙ্গে অবিশ্বাস্য ১৬৫ রানের এক জুটি গড়েন মিরাজ। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল এ স্পিনারের। ৬১ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট।
সিরিজ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষ দিকে নিজের মতো করে বাংলায় কিছু কথা বলার অনুমতি চেয়ে নেন মিরাজ। এরপর সিরিজসেরার প্রাইজমানি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের পরিবারকে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছি। সম্প্রতি আমাদের দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়েছে, যেখানে অনেকে শহিদ হয়েছেন। এ আন্দোলনে একজন রিকশাচালক আহত হয়েছিলেন, পরে উনি মারা যান। তাই আমি এই ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কারটা তার পরিবারকে দিতে চাই।