অক্টোবর ২০, ২০২৪ ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চালানো গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ। গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না সে ব্যাপারে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসেরসঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পার্থ বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। নিষিদ্ধ করা হচ্ছে নাকি নিষিদ্ধ করা হবে সেটা মুখ্য না। একটা ব্যবস্থা নিতে হবে। আওয়ামী লীগ নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হবে নাকি হাইকোর্ট থেকে কোনো আদেশের মাধ্যমে হবে সেটি পরের ব্যাপার। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া আরম্ভ হওয়া উচিত।
বিজেপি সভাপতি বলেন, আমি বলেছি, আপনারা এমন কোনো সংস্কার হাতে নেবেন না, যেটা গণতান্ত্রিক সরকারের নেয়া উচিত। আপনাদের সংস্কারগুলো নির্বাচনমুখী সংস্কার হলে ভালো হবে। বাকি প্রস্তাব থাকতেই পারে, যেগুলো হয়তো পরবর্তী সরকার করবে। মনে রাখতে হবে, এটা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কোনো সরকার না।
আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করা যায় কি না সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন পার্থ। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগেও কয়েক দফা বৈঠক করেছেন তিনি। এবার রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে আলোচনা করতে প্রধান রাজনেতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
শনিবার চতুর্থ দফার গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বিজেপি, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।