গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কারণে প্রায় ৭ লাখ ফিলিস্তিনি নারী বিপদে পড়েছে। কয়েক মাস ধরে চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিল তারা। ইউএন উইমেন সতর্ক করে বলেছে, রাফায় সামরিক অভিযান তাদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দেবে।
ইউএন উইমেনের নতুন তথ্য অনুযায়ী, রাফার জনসংখ্যা ৫ গুণ বেড়ে আড়াই লাখ থেকে ১৪ লাখে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের স্থল আক্রমণে সেখানে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনি নারী ও মেয়েদের হতাহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।
গত সোমবার রাফার কিছু অংশের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলে ইসরায়েল। মঙ্গলবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মিশর সীমান্তঘেঁষা রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই সীমান্তপথকে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘লাইফ লাইন’ বিবেচনা করা হয়।
৯৩ শতাংশ ফিলিস্তিনি নারী বাস্তুচ্যুত স্থানে অনিরাপদ বোধ করছেন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফায় সেনা অভিযান চালানোর অঙ্গীকার করেছেন। ইউএন উইমেন বলছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি নারীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬ হাজার মা। তারা ১৯ হাজার এতিম শিশু রেখে গিয়েছেন।
ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহৌস বলেন, গাজার অন্যান্য অংশের মতো রাফায়ও নারী এবং মেয়েরা ক্রমাগত হতাশা ও ভীতির মধ্যে রয়েছে। ইসরায়েলের স্থল আক্রমণ আরও হাজার হাজার বেসামরিক লোককে হত্যা এবং লাখ লাখ লোককে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার ঝুঁকি তৈরি করবে।
এক জরিপের সূত্রে ইউএন উইমেন জানিয়েছে, ৯৩ শতাংশ ফিলিস্তিনি নারী বাস্তুচ্যুত স্থানে অনিরাপদ বোধ করছেন। ৮০ শতাংশেরও বেশি ফিলিস্তিনি নারী ভুগছেন বিষণ্নতায়। ৬৬ শতাংশ ফিলিস্তিনি নারী বলছেন, তারা ঘুমাতে পারছেন না এবং ৭০ শতাংশেরও বেশি ফিলিস্তিনি নারী বলছেন তারা দুঃস্বপ্ন দেখছেন।