এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশের মতো থাইল্যান্ডেও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়ায় এ সংকট মোকাবিলায় দুদেশ একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ড. হাছান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন। এর পর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের যে বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক সেটি আরও জোরদারের ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশে যে ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজ করা হচ্ছে, সেখানে থাই বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন ‘
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে সে দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক জোন করে দেয়ার কথাও বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দুদেশের যে সম্পর্ক তা আরও বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার জন্য দুই প্রধানমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো থাইল্যান্ডেও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় দুদেশ একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, এনার্জি, কাস্টমস ও টুরিজমের ওপর ৩টি সমঝোতা স্মারক এবং ভিসা ওয়েভারের জন্য দুদেশের মধ্যে ১টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া একটি লেটার অব ইন্টেন্ট স্বাক্ষর হয়েছে।