আগস্ট ৩০, ২০২৪ ১০:২১ পূর্বাহ্ণ
গত কয়েক সপ্তাহজুড়ে সন্ত্রাসী হামলায় ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্ট হয়েছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার এবং সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
চলমান সহিংসতা এবং গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতির নেপথ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন সিন্ধ প্রদেশের গভর্নর কামরান তেসোরি। তার দাবি, ভারত পাকিস্তানের বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নতি চায় না।
কামরান বলেন, ‘দুই জায়গা থেকে আমাদের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এসব সহিংসতা আফগানিস্তানে থাকা ভারতীয় গোয়েন্দারা জড়িত। আফগানিস্তানে ভারতীয় সেটআপের মাধ্যমে এই সমস্ত কার্যক্রম পাকিস্তানে পরিচালিত হচ্ছে’।
ভৌগোলিক ইস্যুসহ নানাবিধ কারণে বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ। সেখানের জীবনমান উন্নতি এবং ব্যবসায়িক প্রসারের জন্য বহু উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। সৌদি আরব, তুরস্ক, চীনা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগে পাকিস্তান সেখানে অর্থনৈতিক করিডোর স্থাপন করছে।
কামরানের ভাষ্য, ভারত চায় না বেলুচিস্তানে বিদেশি বিনিয়োগ আসুক।
তিনি আরো বলেন, ‘এই নৈরাজ্যবাদীরা পাকিস্তানের অর্থনীতি এবং সশস্ত্র বাহিনীর পিছনে লেগে আছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা চায় না এই প্রকল্পগুলো পাকিস্তানে সম্পন্ন হোক। তারা চায় না পাকিস্তান তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করুক’।
গত কয়েকদশক ধরে বেলুচিস্তানে সশস্ত্রগোষ্ঠীর সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেটা বেড়েছে কয়েকগুণ।
গত রোববার দিবাগত রাতে অস্ত্রধারীরা ররশম এলাকায় আন্তপ্রদেশ মহাসড়কে অনেকগুলো যাত্রীবাহী গাড়ি, ভ্যান, ট্রাক গাড়ি থামায়। এসব গাড়ি থেকে অস্ত্রধারীরা বেছে বেছে ২৩ পাঞ্জাবিকে হত্যা করে। মহাসড়কটি পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তানকে যুক্ত করেছে। সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল সেতুও তারা ধসিয়ে দিয়েছে।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ হামলার দায় শিকার করেছে। প্রদেশটিতে গত কয়েক বছরে যেসব সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটা ছিল ভয়াবহ। সেখানে বিএলএর পাশাপাশি আরও অনেক সশস্ত্রগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে।