চীনে গবেষণাগারে ভয়াবহ ইবোলা ভাইরাস তৈরি করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, ল্যাবে তৈরি এই ভাইরাস রুপান্তরে সক্ষম এবং এটি করোনা ভাইরাসের চেয়েও ভয়াবহ।
ডেইলি মেইল বলছে, ভয়ঙ্কর ইবোলা ভাইরাসের একটি অংশ নিয়ে ল্যাবে একটি রোগ ও তার লক্ষণ জানতে এই গবেষণা চালান চীনা বিজ্ঞানীরা।
হিবেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে করা এই গবেষণার ফল এরই মধ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী সায়েন্স ডিরেক্টে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া চলতি মাসের প্রথম দিকে চীনা জার্নাল ভাইরোলজিকা সিনিকায় প্রকাশিত হয় এটি।
চীনা গবেষকেরা বলছেন, ল্যাবে বানানো প্রাণঘাতী ভাইরাসটি একদল হ্যামস্টারের (ইঁদুর জাতীয় প্রাণী) দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। এই ভাইরাস প্রবেশ করানোর তিনদিনের মধ্যেই সবগুলো হ্যামস্টার মারা যায়।
ইবোলা হলে মানুষের দেহে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, এসব হ্যামস্টারের দেহেও সেগুলো দেখা গিয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো, দেহের বেশকিছু অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া।
এই গবেষণার জন্য গবাদিপশুর দেহে আক্রমণ করে এমন একটি সংক্রামক রোগ বেছে নেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এরপর এর সঙ্গে যুক্ত করেন ইবোলা ভাইরাসে পাওয়া প্রোটিন। আর এই প্রোটিন দিয়েই দেহের কোষে আক্রমণ করা সম্ভব হয় এবং রোগটি দ্রুত পুরো দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে ইবোলা ভাইরাস ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।
অভিযোগ রয়েছে, মহামারি সৃষ্টি করা করোনভাইরাসও চীনের ল্যাবেই তৈরি করেছিল যা এখনও বিশ্ববাসীর জন্য উদ্বেগের বিষয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে গবেষকেরা বলেন, ল্যাবে তারা রোগ নিয়ে গবেষণা করেছেন। এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধে মডেল দাঁড় করাতে চান।