ডিসেম্বর ২১, ২০২৩ ৩:১২ অপরাহ্ণ
বেকারত্ব ও বাজারব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে ‘শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি’ স্লোগানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। ২৪ দফার ইশতেহার ঘোষণার সময় দলটি জানিয়েছে, তারা ক্ষমতায় গেলে সব অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টায় জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
ইশতেহারের শুরুতেই বলা হয়েছে, প্রাদেশিক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন। দেশের আট বিভাগকে আট প্রদেশে উন্নীত করতে চায় জাপা। ৬ নম্বরে জোর দেওয়া হয়েছে কর্মসংস্থানে। যেখানে বলা হয়েছে, স্নাতক, স্নাতকোত্তর বেকারদের কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত সরকারিভাবে ভাতা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া শিক্ষা পদ্ধতির সংশোধন, ইসলামি আদর্শ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
ইশতেহার পাঠের শুরুতে পার্টির মহাসচিব তাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবদান তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে বিগত কয়েকটি সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন।
২৬ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাড় প্রশ্নে কৌশলী জবাব দেন মুজিবুল হক চুন্নু। বারবার প্রশ্ন করেও গণমাধ্যমকর্মীরা তার মুখ থেকে এ বিষয়ে সরাসরি কোনো জবাব পাননি।
একপর্যায়ে জাপা মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড় দিয়েছে। কেন দিয়েছে এটি তারাই ভালো বলতে পারবেন। জাপা কাউকে আসন ছাড় দেয়নি৷
নির্বাচনের আগে জাপার ভূমিকার প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে মহাসচিব আবারও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবদানের কথা টেনে আনেন।
চুন্নু দাবি করেন, তারা বিরোধী দল হিসেবে সংসদে সরকারের সমালোচনা করে যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে। তারা মাঠে না থাকলেও সংসদে সক্রিয় ছিলেন।
রাজনৈতিক কর্মসূচি হরতাল বাতিল চান জানিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, মাঠে থাকা মানেই হরতাল-অবরোধ করা নয়৷ আমরা এগুলো চাই না।
জানা গেছে, জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব, তিনজন কো-চেয়ারম্যান মিলে এই ইশতেহার তৈরি করেন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারের সঙ্গে মিল রেখে নতুন ইশতেহার তৈরি করা হয়। ইশতেহারে নতুন-পুরনো চিন্তার সন্নিবেশ করা হয়েছে বলে দলটি জানিয়েছে।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছিল জাতীয় পার্টি। ওই ইশতেহারে প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন, নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার, বিচারব্যবস্থাকে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষা পদ্ধতির সংস্কার, সহজ শর্তে কৃষিঋণ, চরাঞ্চলের কৃষকদের স্বার্থরক্ষা, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য স্থিতিশীল রাখা, ইউনিয়নভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিস্তৃতি ঘটানো এবং পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা চালুর অঙ্গীকার ছিল। এবারের ইশতেহারেও প্রায় একই বিষয় উল্লেখ আছে।