ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় ছয় রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৮টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায়ও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে, শুক্রবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে এক তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের সাবেক সদস্য শেখ মইবুল রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি।
প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় মইবুলকে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত মইবুলের মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে এই খুনের অভিযোগ উঠলেও তারা তা অস্বীকার করেছে।
আবার, রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী। তার অভিযোগ, পুলিশ নন্দীগ্রাম এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করছে।
এই কেন্দ্রের অন্তর্গত হলদিয়ায় স্থানীয় মানুষদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন অভিজিৎ গাঙ্গুলী। জালভোটের অভিযোগ পেয়ে তিনি যখন স্থানীয় একটি ভোটকেন্দ্রে যান, তখন বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে ধরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর নামানো হয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর ওপর গড়বেতার ফুলকুশমায় হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট-পাথর ছোঁড়া হয়েছে। তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রণতের দাবি, ১০০ থেকে ২০০ জন হামলা চালায়। হামলাকারীদের মধ্যে রোহিঙ্গারা রয়েছে। আজ নিরাপত্তারক্ষী না থাকলে বেঁচে ফিরতাম না।
সাত ধাপে অনুষ্ঠিত ২০২৪ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট নেওয়া হয়েছে ১৯ এপ্রিল। এরপর তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের ভোট হয় যথাক্রমে ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে ও ২০ মে।
শনিবার ষষ্ঠ ধাপের ভোট নেওয়ার পর ১ জুন ৭ম পর্যায়ের ভোট গ্রহণের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হবে। আর ৪ জুন ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করার কথা রয়েছে।